শিশুদের মানসিক চাপ কমানোর উপায় কী?

ইঁদুর দৌড়ের দুনিয়ায় চাপ বাড়ছে জীবনযাত্রায়। প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত এবঙ্গ পারিবারিক জীবনেও। বাদ পড়ছে না শিশুরাও। কখনও বাবা-মার অশান্তি, কখনও পারিবারিক টানাপোড়েন সঙ্গে প্রত্যাশার চাপ থাবা বসাচ্ছে শিশু মনে। মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্ৰস্থ হচ্ছে বহু শিশু।

ছোটবেলায় শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় শুধু মাত্র এই কারণে। বর্তমানে বহু শিশুর এই কারণেই মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?  মানসিক চাপ বাড়ার ফলে শিশুদের মধ্যে কী কী পরিবর্তন দেখা দেয়?

এই বিষয়ে নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ অমিতাভ দাস

নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ অমিতাভ দাস বলেছেন, জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের স্টেজ আসে। এই স্টেজগুলিকে বলা হয় ডেভলপমেন্টাল ক্রাইসিস। কিন্তু মানুষের জীবনে এই ডেভলপমেন্টাল ক্রাইসিস চলার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যেমন- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, অফিসে বা কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এই স্টেজের নাম স্ট্রাকচ্যারাল ক্রাইসিস। আর এই স্ট্রাকচ্যারাল ক্রাইসিসের ফলে শুধু মাত্র স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয় না, প্রভাব ফেলে সন্তানের মনেও।  

এই স্ট্রাকচ্যারাল ক্রাইসিসের ফলে শিশুদের মধ্যে ছোট বয়সেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন অশান্তির মধ্যে থাকলে তাদের ঘুম কমে যায়, ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন আসে, বয়স অনুযায়ী ভাবনা চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় না, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কথা বলা কমে যায়। অনেক সময় শিশু মা-বাবার মধ্যে চলা এই অশান্তির জন্যে নিজেকে দায়ী করেন।

এই পরিস্থিতি বেশি দিন স্থায়ী হলে শিশুদের মধ্যে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধি পেলে নানা ক্ষতিকর নেশার দিকে আকৃষ্ট হয়। তবে অনেক বাবা-মা রয়েছেন যারা ছোটবেলা থেকে শিশুদের বকছেন। এই কাজটাও ঠিক না। ছোটবেলায় শিশুদের কথা শুনতে হবে। তাহলেই তাঁরা নিজেদের সমস্যার কথা জানাবে আপনাকে। শিশুরা কোনও ভুল করলে তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। শিশুদের সামনে কোনও ধরনের অশান্তি করা যাবে না। এছাড়াও শিশুদের ছোট বয়স থেকেই বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...