'জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার' শোয়ে আজ অতিথি অভিনেত্রী পায়েল সরকার ও পরিচালক রেশমি মিত্র। এক ‘সুইটেবল ম্যান’কে খুঁজছেন পায়েল। ব্যাপারটা আসলে কী, আড্ডায় শেয়ার করলেন সেই রহস্য। ‘অ্যা সুইটেবল ম্যান’ রেশমি মিত্রের শর্টফিল্ম।
প্রঃ পায়েল, তুমি একজন ‘সুইটেবল ম্যান’কে খুঁজছ। তোমার রোলটা কি লেখকের?
পায়েল সরকারঃ হ্যাঁ, রোলটা রাইটারের। সে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উপন্যাস লিখতে চায়। আমরা সবসময় পারফেক্ট পার্টনারের খোঁজ করি, কিন্তু পারফেক্ট-এর বেঞ্চমার্ক কেউ জানে না। এই লেখক চাইছে একটা উপন্যাস লিখতে চাইছে যেটা ‘সুইটেবল ম্যান’কে নিয়ে। তাই সে নিজেকে দিয়ে ব্যাপারটা বুঝতে চাইছিল।
প্রঃ রেশমিদি, তুমি আগে বড় সিনেমা বানিয়েছ হঠাৎ শর্ট ফিল্ম কেন?
রেশমি মিত্রঃ শর্ট ফিল্ম আমি আগেও করেছি। হিন্দি করেছি। ‘ফেরা’ বলে একটা করেছি। তবে এটা নয় যে ঠিকমতো অফার পাইনি। স্ক্রিপ্ট, কাস্টিং, প্রেজেন্টেশন, মার্কেটিং এগুলো পারফেক্ট করতে চেয়েছি। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। তবে এই ছবি ছোট ছবি বলতে যা বোঝায় একেবারেই ছোট ছবি নয়। বাংলা ছবি ইউকেতে ছবি হয়েছে, ইউএসএ’তে এই প্রথম। সব মিলিয়ে এই ছোট ছবি মোটেই ছোট নয়।
পায়েল সরকারঃ এই ছবিটার ডিউরেশন শুধু ছোট, বাকি সব ব্যাপারগুলো ফিল্মের মতোই।
রেশমি মিত্রঃ যে লেখকের চরিত্রটা পায়েল করছে, তার জীবনের তিনটে অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা তিনটে ছবি করব ভেবেছিলাম। এটা প্রথম পদক্ষেপ। একটা ক্লোজ ডোর শো ছবি হয়েছে ছবির, সবাই বলছে দ্বিতীয়-তৃতীয় করতে।
পায়েল সরকারঃ এক এক সময় এক এক রকমের ছবির ট্রেন্ড আসে। যেমন এখন খুব ডার্ক সাবজেক্ট নিয়ে থ্রিলার হচ্ছে, কিন্তু কোথাও গিয়ে ‘হলিউড রমকম’ ব্যাপারটা আর দেখা যাচ্ছে না, হলিউডেও দেখা যায়নি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ‘রমকম’ ফিরছে। ’ফিল গুড’ ছবি খুব রিফ্রেশ করে। সেই ঘরানাটা খুব আস্তে হলেও ফিরছে।
প্রঃ প্রথম ইউএসএ গিয়ে শ্যুট করার অভিজ্ঞতা কেমন?
রেশমি মিত্রঃ অভিজ্ঞতা ভীষণ ভাল। হালকা একটা পিকনিকের মেজাজ ছিল সব কিছুর মধ্যে।
পায়েল সরকারঃ আমার কাছে তো ভীষণ রিফ্রেশিং ছিল। এখানে একটা চাপের মধ্যে থেকে কাজ করি। আবার চেনা জায়গা, চেনা লোকজনের মধ্যে কাজ করার কমফোর্ট আছে। কিন্তু একটা গার্ডও যেন কাজ করে সবসময়। এই আউটডোরে সেটা ছিল না। এমনিতেও ওখানের মানুষ খুব অতিথি পরায়ণ, উপকারী। আমরা তো শ্যুটিং করতে করতে ক্যাফেতে ঢুকে লাঞ্চ করেও এসেছি। কম ফোর্ট জোন থেকে বেরলে খোলা মনে শ্যুট করা যায়।