পুরনো দিনের ছোঁয়া, নাকি সঙ্গে মিশবে আধুনিকতার আমেজ, পয়লা বৈশাখের সাজ মানেই আভিজাত্য আর স্নিগ্ধতার মেলবন্ধন, নববর্ষে কীভাবে সেজে উঠবেন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী জয়া শীল ঘোষ, জানতে ক্লিক করুন ভিডিয়োতে (Jaya Seal Ghosh, Actress & Dancer)
জয়া শীল ঘোষের সৌন্দর্যের রহস্য কী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন সুন্দর থাকার সবচেয়ে বড় রহস্য অনর। ভিতর থেকে তা যত স্বচ্ছ আর পবিত্র হবে তত চেহারায় তার প্রভাব পড়বে। নাচ তাঁকে মানসিক শান্তি দেয়। সেই বিষয়টাই তাঁর চেহারায় প্রতিবিম্বিত হয়।
কেমন হবে তাঁর নববর্ষের সাজ? নববর্ষ নিয়ে তাঁর বিশেষ পরিকল্পনা নেই। এই দিনটায় তিনি ভালবাসেন চিরন্তন বাঙালি সাজ। তাঁর কাছে পয়লা বৈশাখ মানে ট্র্যাডিশনাল বাঙালি শাড়ি। ঢাকাই জামদানি, ফুলিয়ার তাঁত, এই ধরনের চিরচেনা বাঙালি শাড়ি। ঐতিহ্য আমাদের আরও সমৃদ্ধ করে। সাদা, অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল শেড বেশি পছন্দ করেন। কখনও কখনও ডার্ক কালার। তাঁর মতে যে যেভাবে নিজেকে দেখে খুশি হবে তার সেভাবেই নিজেকে সাজানো উচিত।
জয়ার বড় হয়ে ওঠা অসমে। বর্তমানে কলকাতাবাসী হলেও খুব মিস করেন অসম। নতুন বছর পয়লা বৈশাখ অসমে উৎসব ব’হাগ বা রঙালী বিহু। বিহু মানেই নাচ আর গান। ঢোল আর নানা বাদ্যযন্ত্রের শক্ত মিশে যায় রক্তে। মাঠে গিয়ে সবাই মিলে হয় মুকুরি বিহু। লম্বা সেলিব্রেশন চলে বিহুর।
বাংলায় পয়লা বৈশাখের উদযাপন আলাদা। নতুন জামা, ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা এই সব মিলিয়ে বাঙালি নববর্ষ। হালখাতা পুজো হয়। তাঁর বাবা বাঙালি, বিজনেসম্যান। তাই পয়লা বৈশাখের দিন লক্ষ্মী গণেশ পুজো হত। অহমিয়া আর বাঙালি দুই ঐতিহ্য নিয়েই তাঁর জীবন। নববর্ষও সেই ধারাতেই আসে।