ঘরের কাছে ‘ফরাসডাঙ্গা’। মন উড়ি উড়ি করলেই দিব্যি চেপে বসা যায় ট্রেনে। ঝমঝমিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় ইতিহাসের শহরে। মোঘল, ফরাসী, ওলন্দাজ আর ব্রিটিশ ইতিহাস মিশিয়েছিল গঙ্গা তীরের চাঁদের শহরে। স্বাধীনতার লড়াইতে উত্তালও হয়েছিল এই ভূমি। সময় বদলেছে, কিন্তু হারানো ইতিহাসের ছাপ আজও জেগে আছে গোটা চন্দননগর জুড়ে। এখানে পা রাখলে বেড়াতে, ঘুরতে খেতে তাই কোথা দিয়ে যে সময় বেরিয়ে যায় তাঁর খেয়াল থাকে না। বিশেষ করে যারা মিষ্টি ভালবাসে তাদের কাছে চন্দন নগর মানেই ‘জলভরা’। তবে আছে আরও অনেক স্বাদ। তাও পকেট ফ্রেন্ডলি বাজেটে।
লিট্টি চোখা থেকে চকলেট ফুচকা, চন্দননগরে ১০০ টাকায় দুজনের চটপটা খাবারের চ্যালেঞ্জ এবার 'ফুড কথা'য়। কী কী ছিল লিস্টে?
চন্দননগর স্ট্র্যান্ড চন্দন নগরের সিগনেচার আড্ডা জোন। সব ধরনের মানুষের ভিড় হয় এখানে। কলেজ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে প্রেমিকযুগল, সিনিয়র সিটিজেন কে নয়! এখানেই আছে প্রচুর স্ট্রিট ফুডের অপশন। ঝালমুড়ি, লিট্টির মতো চেনা স্ন্যাক্স যেমন আছে, তেমনি আছে ফিউশন ফুডও।
এখানকার আকর্ষণ লিট্টি চোখা। ছাতু-ঘি আর আলু চোখার লিট্টির প্লেট যেমন হয় এখানে তার থেকে সামান্য আলাদা। লিট্টির গায়ে ঘিয়ের গন্ধ, তার ওপর টক-ঝাল আলো চোখা। ওপরে ছড়ানো ঝিরিঝিরি পেঁয়াজ আর মুচমুচে করে ভাজা কাঁচালঙ্কা। কী তার স্বাদ! ঘুমন্ত টেস্ট বাড জেগে ওঠে।
পাপড়ি চাট আর মশলা মুড়ির পর্বে যদি খুব ঝাল লেগে চোখের জলে নাকের জলে হতে হয় তাহলে চোখ যাবেই চকলেট ফুচকার স্টলে। কুড়কুড়ে ফুচকার ওপর চকলেট সস দেওয়া প্লেট দেখে মন চাইবেই হাতে নিতে।