শ্রোতাদের কাছে এখনও তিনি ‘ছোট্ট অনুষ্কা’, ঘরে-বাইরের জীবনে কেমন?

জি বাংলা সারেগামাপা’ লিটল চ্যাম্পের মঞ্চ তাঁকে জনপ্রিয়তা দেয়। ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৩-এর মঞ্চে ‘বাংলার মেয়ে’র গান মন ছুঁয়েছিল সর্বভারতীয় দর্শকদের। পেয়েছেন ‘কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার’। রক থেকে ফোক- গানের ভুবনে তাঁর তরী এগোচ্ছে তরতরিয়ে, কিন্তু শ্রোতাদের কাছে এখনও তিনি ‘ছোট্ট অনুষ্কা’, ঘরে-বাইরের জীবনে অনুষ্কা আসলে কেমন? টলিকথা’র আড্ডায় গায়িকা অনুষ্কা পাত্র শেয়ার করলেন তাঁর জার্নির গল্প

প্রঃ প্রচন্ড গরম, মাঝে মাঝে একটু বৃষ্টি পড়ছে, এই ওয়েদারে কেমন আছ?

অনুষ্কাঃ আমি ভালই আছি। আমার গরম, ঠান্ডা বৃষ্টি সব মিলিয়ে ঠিকই আছি। এই গান আর পড়া- দুয়ের ভিতর থাকলে আমার আর বাইরের কিছু আর ম্যাটার করে না।

প্রঃ মুম্বইয়ের রিয়েলিটি শো আর কলকাতার রিয়েলিটি শো দুটোতেই যখন তুমি পার্টিসিপেট করেছ তখন দুটোর মধ্যে যে পার্থক্য সে নিয়ে কী বলবে দর্শকদের?

অনুষ্কাঃ বাংলা রিয়েলিটি শোয়ের আগে আমি মুম্বইতেই ছিলাম। আগে আমি ওখানের রিয়েলিটি শো করেছি তারপর আমি কলকাতায় এসেছি তারপর আবার গেছি। দুটোর অভিজ্ঞতা অনেকটাই আলাদা। বাংলারটা কলকাতায় শুট হয়, মুম্বইয়েরটা মুম্বইতে। এখানে ফ্যামিলিয়ার লাগে বেশি। এখানে বাংলায় কথা বলছে সবাই, সবাই সবার ব্যাপার জানে। ওখানে পুরো দেশ থেকে প্রতিযোগিরা আসে। সবার সাথে পরিচিত হতে একটু সময় লাগে। আবার মিশে গেলে সেটাও একটা দারুণ এক্সপিরিয়েন্স। খাওয়াদাওয়া, গ্ৰুমিং, শুট সবেতেই তফাৎ থাকে।

প্রঃ বাবা-মা ছাড়া গান নিয়ে এগিয়ে চলার পথে তোমায় আর কে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করে?

অনুষ্কাঃ বাড়িতে বাবা-মা কেউই মিউজিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের না কিন্তু গানটা বোঝেন। ছোটবেলায় গান শিখতাম আমার দিদার কাছে। বাবা মা ছাড়া বাড়িতে আমায় গানের জন্য সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করে ভাই। ও গান শেখে। ও নিজে যতটা না করে তার চেয়ে বেশি আমায় সাপোর্ট করে। ও আমার চেয়ে বেশি ম্যাচিওর। তাই গানের ব্যাপারে গাইড করে।

প্রঃ তোমাকে সবাই 'রক সিঙ্গার অনুষ্কা' মানে প্রচন্ড হইচই করে গান হবে এরকম ছাপ দিয়ে দিয়েছে দর্শকরা পছন্দ করে। এক্ষেত্রে তুমি কী বলবে?

অনুষ্কাঃ আমি প্রথম প্রথম যখন রিয়েলিটি শো'তে যেতাম হিন্দি শো তে রক টাইপ গান গাইতাম না। মেলোডিয়াস গান যেমন সবাই গায় ওরকমই গাইতাম। রেওয়াজ করতে করতে আমার গলার টেক্সচারে চেঞ্জ আসে। তিন চার বছর আগের টেক্সচারের সঙ্গে তফাৎ আছে এই টেক্সচারের। আমি তো চেষ্টা করব সব ধরনের গান গাওয়ার। জি বাংলায় যখন এলাম দেখলাম তাঁরা আমার গলায় এই ধরনের গান একটু বেশি পছন্দ করছে। তো রিয়েলিটি শো তে এটাই হয় মানুষ যা পছন্দ করবে সেটাই হবে। আমি কিন্তু সব ধরনের গান গাই।

প্রঃ তোমাকে এখনও পর্যন্ত সবাই ‘সুইট কিউট অনুষ্কা’ই ভাবছে, তুমি আসলে কেমন?

অনুষ্কাঃ আমার আসল নকল আমি জানিনা, কিন্তু আমি এরকমই ক্যাজুয়াল নরম্যাল থাকতে ভাল্লাগে।

প্রঃ সেটে কখনও মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে? ফ্যান মোমেন্টস?

অনুষ্কাঃ ফ্যান মোমেন্টস অনেক আছে। এমনি সেটের তো মজা। সারেগামাপা'তে সবাই আমায় যেভাবে দেখেছে ইন্ডিয়ান আইডলে একেবারেই অন্যরকম ক্যারেক্টার। সেখানে আমি খুব চুপচাপ থাকতাম একদম ফোকাসড জানি এই গানটাই গাইতে হবে। এখানে পুরো উল্টো। ফাজলামি, প্র্যাঙ্ক কল করা, এর তার গানে যা-তা নাচ এই সব অনেক ফানি ইন্সিডেন্ডস। আমি সেটে ঘুমিয়ে পড়তাম। এটা সবার কাছে ডেঞ্জারাস একটা ইস্যু। যেহেতু শুট চলছে টাইমের ব্যাপার থাকে। আর আমি ঘুমিয়ে পড়া মানে আমায় ডেকে কেউ তুলতে পারবে না। সেটে সবাই আমায় ডাকত। শেষে ডিরেক্টর এসে আমায় ডাকতেন তাও আমি উঠছি না। তারপর অনেক কসরতের পর উঠতাম।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...