১৯৪৩-এর বার্লিন। নাৎসি নায়ক হিটলারের কার্যকলাপে ত্রস্ত বিশ্ব। তাঁরই নির্দেশে গোপন গবেষণাকারে জন্ম নিল এক ভয়াবহ ভাইরাস। সেই ভাইরাসের লুকিয়ে রাখা ফর্মুলা ঘিরেই যত রহস্য। ভাইরাসকে কাবু করতে পারবেন একমাত্র ‘নেতাজি’। সুভাষচন্দ্র বসু।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের ঠিক আগে ফিরে এলেন নেতাজি। সঙ্গে হিটলারও। একই ছবিতে। ছবির নাম 'স্বস্তিক সংকেত'।
'স্বস্তিক সংকেত'-এর মধ্যে দিয়ে বাঙালির নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও নাজি জার্মানের হিটলারকে আবার সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। এই ছবিতে নেতাজির চরিত্রে অভিনয়ে করেছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের 'নরক সংকেত' উপন্যাসের উপর ভর করে এই ছবির গল্প লেখা হয়েছে। অতিমারী জর্জর পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রয়েছে ছবির পটভূমির। ছবি দেখতে দেখতে বারবার মনে পড়ে যাবে, অতিমারী শুরুর দিনগুলোর কথা। দর্শক বারবার মনে করবেন কীভাবে এক অসুখ দখল নিল গোটা পৃথিবী।
ছবির গল্প অনুযায়ী হিটলারের সময় কালে জার্মান বিজ্ঞানী রুডলফ একটি মারণভাইরাস আবিষ্কার করেছিল। এই মারণভাইরাস কে কাজে লাগিয়ে হিটলার ইহুদিদের হত্যা করেছিল। তবে এই মারণ ভাইরাসের অ্যান্টিডোর বানানোর পদ্ধতি তার বাঙালি সহকর্মীকে জানিয়ে ছিলেন। বহু বছর পর আবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে লন্ডনে। সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে রহস্য উদঘাটনের লড়াই। ছবির নায়িকা রুদ্রানী ও স্বামী প্রিয়ম দুজনে অ্যান্টিডোর বানানোর ফর্মুলা খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। এই ফর্মুলা খুজতে গিয়েই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে নায়ক-নায়িকাকে। এই ছবিতে রুদ্রানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরত জাহান ও প্রিয়মের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
এই ছবিতে ড. সুকুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাফ ফিগার, সুভাষ চ্যাটার্জীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীল দ্বৈত চরিত্রে। তবে নেতাজির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছবির মূল আকর্ষণই হচ্ছেন নেতাজি।'স্বস্তিক সংকেত' ছবি মাধ্যমে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে নেতাজি ও হিটলারের অজানা সব রহস্যগুলি।