প্লাস্টিক সার্জারি কত ধরনের হয়?

পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা কী? পুড়ে যাওয়া রোগীর প্লাস্টিক সার্জারি কীভাবে করা হয়? প্লাস্টিক সার্জারি কত ধরনের হয়? প্লাস্টিক সার্জারিতে বয়স কি বাধা হতে পারে? পরামর্শ দিলেন প্লাস্টিক সার্জেন স্বরবর্ণী বিশ্বাস (Dr Sarabarni Biswas, Plastic Surgeon)  

প্লাস্টিক সার্জেন স্বরবর্ণী বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্লাস্টিক সার্জারি হল ফিনিশিং সার্জারি। মাথা থেকে পা অবধি সব কিছুরই। পোড়া, কাটা, দুর্ঘটনা, শরীরের কোনও অঙ্গে জন্মগত ত্রুটি, ক্যানসার পরবর্তী অবস্থা-এই সব কারণে দেহে যে ত্রুটি বা সমস্যা দেখা দেয় সেসবকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ও পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। প্লাস্টিক সার্জারির আরও একটু অংশ হল কসমেটিক সার্জারি। এই সমস্ত কিছু নিয়ে প্লাস্টিক সার্জারি। প্লাস্টিক সার্জারির জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ যার যেরকম প্রয়োজন সকলের সম্ভব।

প্লাস্টিক সার্জারির সঙ্গে খরচের সম্পর্ক নেই, আছে প্রয়োজনীয়তার সম্পর্ক। সরকারি হাসপাতালেও এই চিকিৎসা সম্ভব।

আগুন ছাড়াও পোড়ার ক্ষতের একাধিক কারণ রয়েছে। কেমিক্যাল, ইলেকট্রিক শক, এমনকি বাজ পড়াও এক ধরনের পোড়া। প্রথমেই উৎসটি বন্ধ করতে হবে। রোগীকে ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে আনতে হবে। এটাই সবচেয়ে আগে দরকার। প্রচুর ঠান্ডা জল দিয়ে ক্ষত স্থান ধুতে হবে। পোশাক আলগা করে দিতে হবে। নুন হলুদ, টুথ পেস্ট- এই ধরনের টোটকা জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয় এতে সংক্রমণ বাড়ে। বাড়িতে এন্টি সেপটিক মলম থাকলে তা লাগানো যেতে পারে। দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। বাড়িতে রাখা উচিত নয় কারণ, কোন পর্যায়ে ক্ষত এবং তার চিকিৎসা কীভাবে হবে সেটা একজন বিশেষজ্ঞর পক্ষেই বলা সম্ভব। পুড়ে ফোস্কা পড়লে তা ফাটিয়ে দেওয়া, জল বের করে দেওয়া উচিত নয়। তা থেকে সংক্রমণ হতে পারে।ক্রিম জাতীয় ওষুধ বা মলম লাগান যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন চামড়া তৈরি হয়ে যায়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...