চাকরি ছেড়ে সঙ্গীতের জগতে এসেছিলেন রণজয় ভট্টাচার্য

ছোটবেলা থেকেই গান নিয়ে একটা আলাদাই উৎসাহ ছিল রণজয় ভট্টাচার্যের। সেই কারণেই কর্পোরেট সেক্টরের চাকরি ছেড়ে সঙ্গীতের দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন। শুরুতে মুম্বাই গিয়েছিলেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে। তারপর বাংলা ছবি 'সোয়েটার'-এর বিখ্যাত গান 'প্রেমে পড়া বারণ' দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন তিনি। এবার জিয়ো বাংলার পর্দায় ধরা দিয়েছেন এই প্রতিভাবান শিল্পী।
 
প্র: 'প্রেমে পড়া বারুন' শুনে সবাই প্রেমে পড়ে গেল। তোমার বারন কেউ শুনল না কেন?
রণজয় : আসলে এই বারনের মধ্যে একটা প্রছন্ন প্রশ্রয় রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো কেউ মানেনি।
 
প্র: কর্পোরেট অফিসের কাজ ছেড়ে তুমি গানের জগতে পা রেখেছিলে। মোটিভেশন কে ছিল তোমার?
রণজয় : আমি ছোটবেলায় মিউজিক নিয়ে সিরিয়াস ছিলাম না। তাই তখন পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। তবে মিউজিক নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা আমার অনেক পরে তৈরি হয়েছে। 
 
প্র: কিন্তু চাকরি ছাড়ার পরেই তুমি মুম্বাই চলে গিয়েছিলেন। টলিউডে তুমি চেষ্টা করলে না কেন?
রণজয় : চাকরি ছাড়ার পর আমি অনেক দিন কলকাতায় ছিলাম। তখন কাজের জন্য অনেক চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই মুম্বাই চলে গিয়েছিলাম কাজের আশায়। 
 
প্র: 'সোয়েটার'-এর পর তোমাকে নিয়ে আশা বেড়েছে শ্রোতাদের। কী মনে হয় এই সময়টা তোমার জন্য কতটা চাপের?
রণজয় : হ্যা ঠিক যে এখন মানুষের এক্সপেক্টেশন বেড়েছে আমাকে নিয়ে। এই এক্সপেক্টেশনটা আমি নিজেই তৈরি করেছি। তাই আমাকে এটা আরও মোটিভেট করে।
 
 
RanjayBhattacharya1
 
 
প্র: যখন তোমার এই গানগুলো কোনও ছোট শিশুকে গাইতে দেখো তখন কেমন লাগে তোমার?
রণজয় : আমার খুব ভালো লাগে যখন শিশুদের গলায় আমার গান শুনি। হয়তো এটার আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য। তাছাড়াও এই গানগুলো ছোটদের কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা হয়নি। তাও তাদের পছন্দ হয়েছে। এটা দেখে আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।
 
প্র: তোমার আর কী কী কাজ আসতে চলেছে?
রণজয় : আমার বেশ কিছু কাজ আসছে। এর মধ্যে রয়েছে- 'আবার বছর কুড়ি পরে', 'লুকো চুড়ি', 'আয় খুকু আয়', 'মায়া', 'বিজয়ার পরে', এছাড়াও 'অ্যাওয়েটিং' বলে একটা ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি। আশা করছি এবছর আসতে পারে এই প্রজেক্টগুলি।
 
প্র: রণজয় ভট্টাচার্য ছোটবেলায় দুষ্টু ছিল?
রণজয় : "না মিচকে ছিলাম।"
 
প্র: বন্ধুদের সঙ্গে কী ধরনের দুষ্টুমির ঘটনা ঘটিয়েছ?
রণজয় : খুব মজা করতাম আমরা। প্রচুর দুষ্টুমির ঘটনা ঘটিয়েছি‌।
 
প্র: ছোটবেলার প্রিয় গান কী ছিল তোমার?
রণজয় : প্রিয় গান অনেকগুলোই আছে। 'মেরে পাস হে' গানটি আমার অন্যতম প্রিয় গান।
 
গানের মাধ্যমে সঙ্গীত শিল্পীদের পরিচয় দেবেন রণজয় ভট্টাচার্য।
 
প্র: নচিকেতা?
রণজয় : 'সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা'।
 
প্র: লগ্নজিতা চক্রবর্তী?
রণজয় : 'প্রেমে পড়া বারণ'।
 
প্র: তোমার কেন মনে হয়েছিল এই গানটি লগ্নজিতার গাওয়া উচিত?
রণজয়: কোনও প্ল্যান ছিল না। আমার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই আড্ডা দিতো। একদিন আমার লেখা গানগুলো ওকে দেখা ছিলাম তখন 'প্রেমে পড়া বারণ' গানটা ভালো লেগে যায় লগ্নজিতার। এই গানটা তখনই রেকর্ড করেছিলাম আমরা।
 
প্র: রুপম ইসলাম?
রণজয় : 'ভোরের বাতাসে'। এছাড়াও আমার নতুন ছবি 'আবার বছর কুড়ি পরে'-র একটা গান গেয়েছে তিনি।
 
প্র: সৃজিত?
রণজয়: 'গভীরে যাও আরও গভীরে যাও'।
 
প্র: ইমন?
রণজয়: 'এরা সুখে লাগি'।
 
প্র: রণজয় ভট্টাচার্য?
রণজয়: 'আজ আমার আকাশ'।
 
প্র: কেমন লাগলো তোমার জিয়ো স্টুডিয়োতে আড্ডা দিতে এসে?
রণজয়: খুব মজার আড্ডা হল। আমার খুব ভালো লেগেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...