ব্রেন ম্যালেরিয়া কেন হয়?

ব্রেন ম্যালেরিয়া কী জানেন? ম্যালেরিয়া কীভাবে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে, বিস্তারিত জানালেন  সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সায়ন চক্রবর্তী (Dr Sayan Chakraborty, DM (INFECTIOUS DISEASES - AIIMS, NEW DELHI)

ব্রেন ম্যালেরিয়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সায়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী ম্যালেরিয়ার ফল। ১০-১৪ দিন ধরে যদি জ্বর থাকে আর পরীক্ষায় ম্যালেরিয়া না চিহ্নিত হইয় তাহলে সংক্রমণ মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। তার জন্য জটিলতা দেখা যায়। ঠিকভাবে কথা বলতে না পারা, অস্বাভাবিক আচরন দেখা যায় রোগীর মধ্যে। আজ থেকে ২০২৩ বছর আগে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হামেশাই দেখা যেত। এখন অবশ্য এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। তার কারণ এখন তিন-চার দিন জ্বর থাকলেই টেস্টিং হয়, প্রইয়োজনীয় চিকিৎসাও শুরু হয়ে যায় তাড়াতাড়ি।

ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে একটাই পথ তা হল মশা থেকে বাঁচা। তার দুটো উপায়। এক, বাড়ির ভিতরে ও বাইরে সুরক্ষিত থাকা এবং দুই মশা প্রতিরোধ।

বাড়ির ভিতরে মশারি, মশারোধক সামগ্রী ববহার করতে হবে। বাইরে মশা থেকে বাঁচার উপায় শরীর ঢাকা পোশাক। এখন কিছু তেল পাওয়া যায় যা জামা কাপড়ের ওপর ব্যবহার করলে মশা দূরে থাকে।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মশার প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা। নোংরা জল, আবর্জনা যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্ষা আসার আগেই সেই পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচা যায়।

ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ জ্বর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগা, মাথা যন্ত্রণার উপসর্গ দেখা যায়। একেবারে শুরুতে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। পরের থাকে আসে নিঃশ্বাসের সমস্যা, কথা কমে আসা, চোখের রঙ বদল, প্রস্রাবের রঙ বদল। একেবারে শুরুতে ব্যবস্থা না নিলেই দ্বিতীয় ধাপের উপসর্গগুলি দেখা দেয়। তাই জ্বর হলে তা যদি বেশ কইয়েকদিন না কমে তাহলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছেই যেতে হবে। 

ম্যালেরিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শমাফিক ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। প্রচুর জল খেতে হবে। হাইপ্রোটিন আছে এমন খাবার, ফল, ডাল থাকতে হবে ডায়েটে। তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।    

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...