শিশুরা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে কী করা উচিত?

করোনা পরিস্থিতির শান্ত হতে না হতেই কলকাতা তথা বাংলার বহু অঞ্চলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও এই ধরনের ভাইরাল জ্বর জাতীয় রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তাই কীভাবে এই ধরনের রোগের চিকিৎসা কী? জানালেন কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক ডাঃ প্রভাস প্রসূন গিরি।

কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক ডাঃ প্রভাস প্রসূন গিরি বলেছেন, সাধারণত যে সকল শিশুরা বাড়ির মধ্যে থাকে তারাও ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ বাড়ির বড়রা যখন বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন তখন সেখান থেকেও এই ভাইরাস বাড়িতে প্রবেশ করছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা যখন স্কুলে বা মাঠে খেলাধুলা করতে যায় সেখান থেকেও এই ভাইরাস তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বেশ কয়েক মাস ধরেই শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাল ফিভারের সমস্যা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর ভাইরাল জ্বর হলে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই ধরনের জ্বর হলে শিশুদের প্যারাসিটামল দেওয়া উচিত। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। না হলে সাইড এফেক্ট দেখা দিতে পারে। শিশুদের লিভার পার্মানেন্ট ড্যামেজ হতে পারে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল ব্যবহার করার ফলে।

শিশুদের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হল হাইড্রেশন মেইনটেইন করা। প্রাপ্ত বয়স্করা জ্বর হওয়া সত্ত্বেও নিজের হাইড্রেশন মেইনটেইন করতে পারে। তাই শিশুদের দিকে নজর দিতে হবে যাতে তারা কোনও ভাবে সংক্রমিত না হয়।

জ্বর হলে শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য অনেক বাবা-মা জলপটি দেন। কিন্তু এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমলেও জ্বর কমবে না, বরং বারবার ঠান্ডা জল দেওয়ার ফলে অন্য বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। ভাইরাল জ্বর যদি মায়ের হয় তখনও সে তার সদ্যজাত শিশুকে ব্রেস্টফিডং করাতে পারবে। শিশুর মাকে অবশ্যই একটি মাক্স পরে নিতে হবে। তবে যদি শিশুকে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর পরেও তার জ্বর না কমে অথবা শরীর খুব দূর্বল থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...