ভাইরাল ফিভার এড়িয়ে চলতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?

ভারতসহ সারা বিশ্বেই এখন ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ বেড়েছে। কোভিড পরিস্থিতির পরবর্তী সময়ে এই ধরনের জ্বর বেশি দেখা যাচ্ছে মরসুম বদলের সময়। সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু আগে সতর্ক থাকলে ভাইরাল ফিভারের সমস্যা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যাবে। কিন্তু কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষ।

ডাঃ শিঞ্জিনী ঘোষ বলেছেন, ভাইরাল ফিভার সাধারণত ভাইরাস থেকেই হয়। যেমন- ফ্লু, ডেঙ্গি। ভাইরাল ফিভারের উপসর্গগুলো সাধারণ জ্বরের মতোই। ভাইরাল ফিভার হলে গা-হাত-পায়ে ব্যথা, মাথায় ব্যথা, চোখ দিয়ে জল পরে। ভাইরাল ফিভার হলে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ খেয়ে নেয়। ভুল করে যদি অ্যাসপ্রিন জাতীয় ওষুধ এই সময় খেয়ে নেয় কেউ তাহলে তার প্রাণ হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে শুধু মরসুম বদলের সময়ে নয়, বছরের অন্য সময়েও ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু যেহেতু মরসুম বদলের সময় তাপমাত্রারও বদল ঘটে সেই কারণে এই সময় বেশি মানুষ এই ধরনের জ্বরে আক্রান্ত হন। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে  নিজের যত্ন নিতে হবে।

ভাইরাল ফিভার একটি সংক্রমিত রোগ। সুতরাং কারুর যদি ভাইরাল ফিভার হয় তাহলে তার সংস্পর্শে যে আসবে তার শরীরেরও এই রোগ বাসা বাঁধবে‌। তাই যদি মায়ের ভাইরাল ফিভার হয় তাহলে মাকে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। যার ফলে শিশুর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম যাবে। ভাইরাল ফিভারে জ্বর সব সময়ে বাড়তে পারে এর কোনও আলাদা সময় নেই। ভাইরাল ফিভার হলে অবশ্যই ভাইরাল ফিভারের টেস্টের পাশাপাশি ডেঙ্গি ও টাইফয়েডের টেস্টও করা খুব জরুরি।

ভাইরাল ফিভার যাতে না হয় তার জন্য সবার আগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমাদের শাক-সবজি, ফল খেতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন পরিমাণ মতো জল খাওয়াটা খুব জরুরি।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...