বয়ঃসন্ধিকালে নারীদের কী কী শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?

বয়ঃসন্ধিকালে  হরমোনাল ইমব্যালেন্সের ফলে নারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়াটা খুব স্বাভাবিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয় যায়। কিন্তু অনেক সময় দীর্ঘ দিন এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। তাই এই ধরনের সমস্যার চিকিৎসা সম্পর্কে জানালেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অবস্টিট্রিশিয়ান এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণিমা হালদার।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অবস্টিট্রিশিয়ান এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণিমা হালদার (Gynecologist, Obstetrician, Infertility Specialist- Dr. Arunima Haldar) বলেছেন, বয়ঃসন্ধিকালীন অর্থাৎ ১২ বছর থেকে ১৯ বছরের সময়টাকে বলা হয় অ্যাডলেসেন্ট পিরিয়ড। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সময় যে ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো অনেকটাই আলাদা। এই সময় মহিলাদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয় যার ফলে মানসিক ভাবেও তারা অনেক সময় ভেঙে পরেন। তাই এই সময় পিতা-মাতার উচিত তার সন্তানের পাশে থাকার।

এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মহিলাদের মধ্যে মাসিকের সময় বেশি পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে, আবার অনেকের খুব কম রক্তক্ষরণ হয়, মাসিকের সময়ের ব্যবধান অনেক সময় বেড়ে যায় বা কমেও যায়। এই সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ ব্যবহার করেন। যার ফলে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের হরমোনাল ইমব্যালেন্সের ফলে বয়ঃসন্ধিকালে এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সব ঠিক হয় যাবে। তবে যদি একবার মাসিক হওয়ার পর আবার ছয় মাস কিংবা তার পরেও মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কিন্তু এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য অবশ্যই সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে। তার জন্য শাক-সবজি, ফল, প্রোটিন,  ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড বা ভাজা খাবার খাওয়া কমাতে হবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মেনে খাবার খেতে হবে। আজকাল  পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ কম বয়সী মেয়েদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ওবিসিটি থাকলেই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ দেখা দেয়। আর একবার এই সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই ওবিসিটির সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য হেলদি ডায়েট খাওয়ার পাশাপাশি কম বয়স থেকেই খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করাটা জরুরি।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...