PCOS পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে আক্রান্ত রোগীদের ডায়েট করলে কি ওজন কমবে? কেমন হওয়া উচিত ডায়েট প্ল্যান? কোন খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না? এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসে কেমন বদল জরুরি? বিস্তারিত জানালেন পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশনিস্ট তনিমা লাহিড়ী(Tanima Lahiri, Paediatric Nutritionist)
পরিসংখ্যান বলছেন, গোটা বিশ্বে ১০ শতাংশের বেশি মহিলা এই পিসিওএস-এ ভোগেন। তার জন্য নিয়মিত চিকিৎসাও করান বেশ অনেকেই। তবে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাওয়াদাওয়ায় বদল।
পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশনিস্ট তনিমা লাহিড়ী জানিয়েছেন, ওজন বাড়ার ফলে ওবিসিটির সমস্যা হয়। তখন ইনসুলিন রেজিসটেন্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইনসুলিন কোষে গ্লুকোজ পৌঁছে দেয়। যখন ইনসুলিন রেজিসটেন্স হলে সুগারটা থেকে যাচ্ছে। সেখান থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিস হয়। ওবিসিটি শুধুমাত্র লক্ষণ। ওবিসিটি থেকে পরবর্তী ক্ষেত্রে টাইপ টু ডায়াবেটিস, সিভিডি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। PCOS ডায়েট কতটা জরুরি? সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীরা যখন আসেন তখন প্রথম লক্ষ্য থাকে 'হেলদি ওয়েট'। বিষয়টা কিন্তু 'আইডিয়াল বডি' নয়। শরীরের ওজন যাতে সুস্থতার সীমারেখায় থাকে। ওজন যখনই স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে তখন ইনসুলিন তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরে পাবে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও কমে। এক্ষেত্রে ডায়েট তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। PCOS- এর অন্যতম কারণ স্ট্রেস। দ্রুতগতির ব্যস্ত জীবনযাত্রাও দায়ী। তাই ডায়েটের সঙ্গে লাইফস্টাইলে বদল আনতে হবে। PCOS- এ ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, নানারকম ভিটামিনের অভাব দেখা যায় শরীরে।
রোগীকে তাই প্রথমেই স্টাডি করে তার কমতির জায়গা আছে কিনা সেই অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান করে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে হবে। ডায়েট প্ল্যান বলতে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রসেসড মিট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফ্রায়েড ফুড, এনার্জি ড্রিংক এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। ওবিসিটি বলে শুধু নয়, সাধারণ ওজন বৃদ্ধির সমস্যাতেও এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। PCOC- এর ক্ষেত্রে ডায়েটের মধ্যে থাকতে হবে। সমস্যা ভেদে প্রত্যেকের ডায়েট আলাদা। কম খাবারের থেকে হেলদি খাবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওজন বাড়ছে বলে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিলেও হবে না। কোনও ভারি মিল বাদ দেওয়ার পরিবর্তে ২-২-৪ ঘণ্টার বিরতিতে খেলে সেটা অনেক উপকারী। ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচৰ্চা করতে হবে। একটা স্ট্রেস ফ্যাক্টর থাকে। অনিদ্রা, ইনসম্যনিয়ার মতো সমস্যা হয়। শরীরচৰ্চা, মেডিটেশন, যোগা, জিম এই জিনিসগুলো লাইফস্টাইলকে হেলদি রাখতে সাহায্য করে।