PCOD-এর জন্য ওজন বাড়ে কেন? শরীরে কী কী ধরনের পরিবর্তন আসে? ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ডায়েট প্ল্যান কেমন হওয়া উচিত? কোন ফল এবং সবজি PCOD রোগীদের জন্য বেশি উপকারী? পরামর্শ দিলেন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান অগ্নিমিত্রা চট্টোপাধ্যায় (Agnimitra Chatterjee Mukherjee, Clinical Dietician)
হাইলাইটসঃ
১। PCOD-এর জন্য ওজন বাড়ে কেন?
২। ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ডায়েট প্ল্যান কেমন হওয়া উচিত?
৩। বেসিক ডায়েটে কী কী থাকা জরুরি?
PCOD - এর কারণে ওজন কেন বাড়ে?
PCOD -এর পুরো নাম Polycystic Ovarian Disease। এই অসুখে শরীরে Hormonal Imbalance হয়। এর ফলে আমাদের মেটাবলিক রেট অনেক কমে যায়। এই মেটাবলিক রেট ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হয়। কিন্তু PCOD ও PCOS যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই রেট কমে যায়। এই কারণে দেহের ওজন বেড়ে যায়।
এছাড়াও PCOD -তে ইন্সুলিনের পরিমাণে পার্থক্য আসে। এই কারণে শরীরে ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পায়। একারণে শরীরে ফ্যাট স্টোর হতে থাকে।
সাধারণত মানব শরীরে ওভারি থেকে দুই ধরণের হরমোন নির্গত হয়। একটি মেল হরমোন ও অন্যটি ফিমেল হরমোন। নারীদেহে সাধারণত ফিমেল হরমোনের প্রভাব বেশী দেখা যায়, কিন্তু PCOD -এর সময় শরীরে মেল হরমোন প্রভাব বিস্তার করে। ফলে রোগী স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি খাবার খায়। সেই কারণেই ওজন আরও বেড়ে যায়।
এছাড়াও ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে যায় ও প্রজেস্টোরন হরমোন কমে যায়। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ার কারণেও খিদে বেড়ে যায়, ফলে ওজন বাড়ে।
PCOD -র কারণে মুড সুইং হয়। ফলে Hunger Cravings বাড়ে। এই কারণেও ওজন বাড়ে।
Hunger Cravings Control করবেন কীভাবে?
Hunger Cravings কন্ট্রোল করার জন্য যেই ধরনের খাবারের Craving হচ্ছে সেই ধরনের খাবারের অন্য অপশন খুঁজতে হবে। যদি আপনার চকলেট খেতে ইচ্ছা করে, তখন চকলেট না খেয়ে যদি আমন্ড বাদাম বা হালকা মিষ্টি অথচ হেলদি কোন খাবার খাওয়া যায় তবে সেটি শরীরের পক্ষে ভালো।
এছাড়াও অয়েলি খাবার খেতে ইচ্ছে করার কারণ শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব। সেক্ষেত্রে ডায়েট প্ল্যানে সেই অনুযায়ী খাবার যোগ করতে হবে।
এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল, ডায়েটিশনেরনের পরামর্শ ছাড়া নিজের থেকে ডায়েট প্ল্যান করা উচিত নয়। কারণ ডায়েট চার্ট সবসময় কাস্টমাইসজড হয়। এক্ষেত্রে শরীরের পক্ষে উপযোগী সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ না করলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বেসিক ডায়েটে কী কী থাকা জরুরি?
১। Balance Diet হতে হবে।
২। প্রতিটি Meal -এ সঠিক পরিমাণে protein, fiber ও carbohydrate থাকে।
৩। সবজি ও ফল সঠিক পরিমাণে খেতে হবে।
৪। তেল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
PCOD -র সমস্যা থাকলে কী কী খাবার খাওয়া উচিত নয়?
১। মিষ্টি
২। তৈলাক্ত খাবার
৩। জাঙ্ক ফুড
৪। স্টোর করা খাবার
৫। ময়দা জাতীয় খাবার
তবে সবশেষে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, শুধুমাত্র সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করাই যথেষ্ট নয়। খাওয়ার সঠিক সময়, নির্দিষ্ট পরিমাণে শরীরচর্চা ও সঠিক পরিমাণে ঘুম খুব জরুরী সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে।
দর্শকদের প্রশ্ন:
১৷ চিনির বিপরীতে কী খাওয়া যেতে পারে?
চিনির বিপরীতে sevier খাওয়া যেতে পারে।
২। তেলেভাজার বিপরীতে কী খাওয়া যেতে পারে?
তেলেভাজার বিপরীতে স্টিম ও গ্রিলড খাবার খাওয়া যেতে পারে।