হাতে মাত্র আর কটাদিন তারপরেই মা শিবালয় ছেড়ে তাঁর বাপের বাড়ি আসতে চলেছে ।চারিদিকে সাজো-সাজো রব। পুজো কমিটির সদস্যদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। সেই ব্যাস্ততার মধ্যেও 'পাইকপাড়া ৩১ পল্লী ক্লাব'-র সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন আমাদের জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে।সঞ্চালিকা মেঘার সাথে তাদের কথপোকথন উঠে এল তাদের পুজোর নেপথ্য কথা। ১৯৫৪ সালেক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্গীয় সুবোধ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়।দেখতে দেখতে এবার ৬৫ তম বর্ষে পর্দাপণ করলো তারা। নারীরা যতই পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজে চলুক না কেন।কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীরাই কালিমালিপ্ত হচ্ছে সমাজের কাছে।রামায়ণের যুগে ফিরে তাকালে দেখতে পাবো সীতাকেও তার সতীত্বের প্রমান দিতে হয়েছিল।সীতাকে একটা উজ্জ্বল মুখ হিসাবে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়ে তাদের এবারের থিম ‘সীতায়ন’।সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরেলালসার শিকার হয়ে আসছে।কিন্তু কেন?সীতাকে যখন আমরা মেনে নিয়েছিলাম তাহলে সীতারূপী নারীদেরকে কেন পারবোনা।প্রত্যেক নারীর মধ্যেই যে সীতা রয়েছে সেটি তাদের শিল্প কলার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেশিল্পী সুমন সাহা। তাদের এই সুন্দর উপস্থাপনা দেখতে হলে আপনাদের সবাইকে যেতেই হবে 'পাইকপাড়া ৩১ পল্লি ক্লাব'।দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা,ভলেন্টিয়ারদের সংখ্যা বাড়ানো,ফাস্টেড ব্যবস্থা,প্রবীণদের জন্য বিশেষ রাস্তা দিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করিয়ে প্রতিমা দর্শন ব্যবস্থা ইত্যাদি গ্রহণ করা হয়েছে।সম্ভবত চর্তূথীর দিন উদ্বোধন করা হবে।মেট্রো করে শ্যামবাজার সেখান থেকে সিঁথির মোড়গামী যে কোনো বাসে উঠে নামতে হবে পাইকপাড়া|