“এত খুশী, এত আলো কোথায় গেল”

প্রাগৈতিহাসিক যুগে আগুনের আবিষ্কার ছিল মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আগুনের আবিষ্কার হয়েছিল বলেই আজ মানুষ বাকি প্রণীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছে। আগুনের আবিষ্কারের সাথে সাথেই মানুষ অন্ধকারকে নিজের জীবন থেকে চিরদিনের মত সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু একটু লক্ষ করলে দেখতে পাবেন গুহামানব থেকে বর্তমানের সভ্য মানুষের এই যে আমূল পরিবর্তন সেই পরিবর্তনের এক অন্যতম অংশ হল আলো।  আর এই আলোকে কেন্দ্র করেই এবছর সেজে উঠেছে এন.এস.সি স্পোর্টস ক্লাবের পূজা মন্ডপ।  জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান উপলক্ষে আমাদের স্টুডিওয়ে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট খোকোন গাঙ্গুলি, থিমের রুপোকার সুদীপ্ত ঘোষ ও প্রতীমা শিল্পী ঈরা চক্রবর্তী। সঞ্চালিকা অরণীর সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও।  এবছর ১৯তম বর্ষে তাদের থিম “এত খুশী, এত আলো কোথায় গেল”।  তাঁদের মন্ডপে গেলে দেখতে পাবেন গ্রাম বাংলার ছবি যেখানে হয়ত বিদ্যুৎ পরিষেবা গিয়ে পৌঁছোয়নি। ছেলে মেয়েদের  পড়াশোনা থেকে শুরু করে সন্তানকে মায়ের খাইয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ কাজটি হচ্ছে হ্যারিকেনের আলোতে।  অর্থাৎ গ্রামের মানুষ হ্যারিকেনের ওপর কতটা নির্ভরশীল সেই ছবি ফুঁটিয়ে তুলতে চেয়েছে শিল্পী সুদীপ্ত ঘোষ।  আর থিমের সাথে সামঞ্জস্য  রেখেই প্রতীমা তৈরী করেছেন শিল্পী ঈরা চক্রবর্তী।  ১১ই অক্টোবর অর্থাৎ দ্বিতীয়ায় পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শ্রীমতি সুভাষিনী দেবীকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা তাদের দুর্গোৎসবের শুভসূচনা ঘটাবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...