শিউলি ফুলের গন্ধ,কাশ ফুলের শ্বেত বর্ণ,ভোরে শিশিরে ভেজা পদ্মফুল চারিদিকে যেন পুজো-পুজো রব।শুধুমাত্র বাঙালিরা নয় প্রকৃতিও সেজে উঠেছে,মা আসছেন বলে।আর মাত্র কটা দিন, তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ট দুর্গাপুজো শুরু। শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত পুজো কমিটি থেকে শুরু করে আপামর বাঙালী।সেই ব্যাস্ততার মধ্যেও আমাদের ষ্টুডিও তে উপস্থিত ছিলেন নতুনপল্লি ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।আড্ডার ছলে উঠে এল তাদের পুজোর নেপথ্যকথা।ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে।মায়ের আরাধনা শুরু হয় আজ থেকে ৪০ বছর আগে।প্রথম দিকে শ্যামা পুজো দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে মা দুর্গার আরাধনা শুরু হয়। প্রথমের দিকে সাবেকিয়ানায় মায়ের আরাধনা শুরু করলেও ২০১২ থেকে থিম রেওয়াজে তারাও অংশগ্রহণ করেন।থিমের আদলে মণ্ডপ সজ্জা হলেও মায়ের প্রতিমার কিন্তু কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।মণ্ডপ সজ্জা নতুনত্বের ছোঁয়া পেলেও মৃন্ময়ীমায়ের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।৪০ বছর ধরে সাবেকিয়ানায় মাকে বরণ করা হচ্ছে । নতুনপল্লি ইয়ুথ ক্লাব এবারের আকর্ষণ বাঁকুড়ার "টেরাকোটা"শিল্প । পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে তিনমাস আগে থেকেই। পঞ্চমীতে বস্ত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে উদ্ভোদন করা হবে পুজো । পিছিয়ে পড়া শিল্প গুলিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরাই তাদের প্রধান লক্ষ।দর্শক সংখ্যা ক্রমাগত যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, তার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ সদা তৎপর। প্রবীন দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে প্রতিমা দর্শনে সুব্যাবস্থা। শিয়ালদহ ডাউন লাইনের যে কোনো ট্রেন যেমন - শিয়ালদহ -বারুইপুর , শিয়ালদহ -লক্ষীকান্তপুর , শিয়ালদহ ডায়মন্ডহার্বার গ্যালোপিন করে সোনারপুর সেখান থেকে অটো বা রিক্সা করে পৌঁছে যেতে পারেন নতুন পল্লী ইয়ুথ ক্লাবের পূজা মন্ডপে।