‘ডিমে স্নান করে পরাণদা বললেন এবার স্নানটা করি?’

বড়পর্দায় আসছে বাঙালির প্রিয় দুই দস্যি নন্টে আর ফন্টে। নারায়ণ দেবনাথের কাহিনি অবলম্বনে নতুন বাংলা ছবি।  আজ ‘টলি কথা’র আড্ডায় উপস্থিত টিম ‘নন্টে-ফন্টে’ পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী, অভিনেতা ও লেখক অম্লান মজুমদার এবং অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। শুনুন ছবি তৈরির গপ্পো। বড়পর্দায় মুক্তি পাবে ১৯ মে।

প্রঃ এই কমিক সিরিজের ওপর ছবি করাটা কতটা কঠিন ছিল?

অনির্বাণ চক্রবর্তীঃ প্রথম যে সমস্যা ছিল, আমরা পড়েছি নন্টে-ফন্টের গল্প দু’পাতার। কিন্তু দু’পাতার গল্পে ফিচার ফিল্ম হয় না। তাই অনেক গল্প দরকার। এটা অম্লান দারুণভাবে সামলেছে।

অম্লান মজুমদারঃ নন্টে-ফন্টের প্ল্যান যখন হয় তখন দু’পাতার গল্প গল্পের ব্যাপারটা আসে। এই গল্প সবাই পড়েছে। কিন্তু পড়া একরকম, আএ সেই গপ যখন সিনেমায় আসে তখন সূত্র কীভাবে বাঁধব তার একটা সমস্যা ছিল। আমরা নারায়ণবাবুর কাছে গিয়েছিলাম। উনি আমাদের খুব সাহায্য করেন। ওঁর অপ্রকাশিত প্রথম দিককার কিছু নন্টেফন্টে ছিল। সেগুলো উনি আমাদের হাতে তুলে দেন। সব মিলিয়ে নন্টে ফন্টের সংখ্যা আটশো। আমাদের যখন কাজ চলছে তখনও উনি লিখছেন, আঁকছেন। মোটামুটি রাফ হিসেবে বলা যায় সাড়ে আটশো নন্টে-ফন্টে তৈরী হয়েছিল। এই সাড়ে আটশো গল্প আমি পড়েছিলাম। প্রথমেই গুলিয়ে ফেলেছিলাম কোথা থেকে শুরু করব। খুব চেনা গল্পগুলো রেখে বাকি গল্পের সঙ্গে যোগসূত্র বের করা সাময়িক কঠিন ছিল। সেটা চেষ্টা করেছি। কতটা হয়েছে সেটা ছবি দেখে দর্শকরা বলবে। তবে এটুকু বলতে পারি ছবিটা দেখলে নির্ভেজাল নন্টে-ফন্টে খুঁজে পাবেন। যে নন্টে-ফন্টে পড়ে বাঙালি বড় হয়েছে একেবারে সেই নন্টে-ফন্টে দেখতে পাবে।

প্রঃ কাঞ্চনা, তোমার চরিত্র নিয়ে কী বলবে?

কাঞ্চনা মৈত্রঃ এরকম একটা চরিত্রে কাস্টিং করার জন্য অনির্বাণ-অম্লান দুজনকেই ধন্যবাদ। আমায় আগে কখনও এরকম  রিত্রে দেখা যায়নি। এই ছবিটা আসছে একরাশ অক্সিজেন নিয়ে। আমার চরিত্রের নাম ‘চিংড়ি’। খুব মজার ছবি। শুধু দমফাটা হাসির জন্য শ্যুটিংয়ের সময় কতবার কাট করতে হয়েছে!

প্রঃ পর্দায় যে নন্টে-ফন্টে আসছে তারা কতটা দস্যি?

অনির্বাণ চক্রবর্তীঃ দস্যি তো বটেই। এই ছবিটা করার সময় আর একটা বড় চাপ ছিল চরিত্র বাছা। যে দুজনকে নন্টে-ফন্টে হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে তারা খুব প্রাণবন্ত। দুষ্টুও। সেটাই দরকার ছিল। পর্দায় ওদের যেমন দেখা যাবে বাস্তবেও তেমনি।

অনির্বাণ চক্রবর্তী ও অম্লান মজুমদারঃ পরাণদার একটা সিন ছিল, ওঁর মাথায় ডিম ছুঁড়ে মারবে। তার আগে ডিমের তাক প্র্যাকটিসের জন্য দু’ ক্রেট ডিম আনা হয়েছিল। টিপ করতে করতেই সেই ডিম শেষ! আবার তিন নম্বর ক্রেট আনতে হল, তবে ওকে হল। পরাণদার মাথায় ডিম মারা হল। ডিমে স্নান করে পরাণদা বললেন এবার স্নানটা করি?

কাঞ্চনা মৈত্রঃ আমার মনে পড়ছে আমাদের ‘কেল্টু’কে। তাকে প্রথমদিন শ্যুটিংয়ে দেখেই ভালবেসে ফেলেছি। সারাক্ষণ তিড়িংবিড়িং করত সেটে। আমাদের একটা মযার খেলা ছিল। আমি হয় কেল্টুকে শূন্যে একটা ঘুষির ইশারা করলাম আর ও তার এক্সপ্রেশন দেবে। এটা সারক্ষণ চলত।

অম্লান মজুমদারঃ এই ছবিটায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, লামাদা, সুমিতদা, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, কাঞ্চনা তো আছেই- যাঁরা আপনাদের সবাইকে এতদিন হাসিয়ে এসেছেন, তাঁদের সব্বাইকে একসঙ্গে দেখতে পাবেন।

প্রঃ এই নন্টে ফন্টের পর আর কোনও কমিকে এরকম কাজ পেতে চলেছি?

অনির্বাণ চক্রবর্তীঃ সেটা পেতেই পারি। এক্টু সাসপেন্স থাক...

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...