আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি কতটা কার্যকরী?

আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা এখন প্রায় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাদের স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটির সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যেই বাসা বাঁধে এই রোগ। চিকিৎসার মাধ্যমেও এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যার উপসর্গগুলো অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ফিজিওথেরাপিস্ট মনোজ কুমার মাইতি।

ফিজিওথেরাপিস্ট মনোজ কুমার মাইতি (Physiotherapist-Manoj Kumar Maiti) বলেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডি-জেনেটিক পরিবর্তন হয় মানুষের কার্টিলেজের মধ্যে। যার ফলে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও হাড়ে আঘাত লাগলে বা টিবি, ল্যাপ্রসি জাতীয় রোগ থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি রয়েছে তাদের খুব কম বয়স থেকেই আর্থ্রাইটিস দেখা দেয়।  আজকের প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা অনেকেই সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন। আর তার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খান। কম বয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দেওয়ার একটা বড় কারণ হল এই ধরনের জীবনযাপন।

হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কার্টিলেজের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল জমে যায়। যার ফলে গাউট আর্থ্রাইটিস হতে পারে। কিন্তু কাঁকড়া জাতীয় সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকা সত্ত্বেও সেটা খেতে বলা হয়। কারণ সেটাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। অনেক চিকিৎসকই দুধ জাতীয় খাবার খেতে বলেন, কিন্তু দুধে ক্যাজিন নামক একটা প্রোটিন রয়েছে যা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আরও বাড়িয়েও দিতে পারে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে দুধ জাতীয় খাবার খেতে বারণ করা হয়।

আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি খুব কার্যকরী। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু থেরাপি শুরুর আগে রোগীর ব্যথা কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপর তাদের কিছু এক্সারসাইজ করতে বলা হয়। এবার তাদের নি-ক্যাপ জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে বলা হয়। যাদের আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে তাদের হাঁটু মুড়ে বসে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। আর কম বয়সীদের এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে হলে নিজের জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...