জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৮-র অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা মনীষার সাথে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন গতবছর প্রাইম ইন্ডিয়া থেকে পরিবেশ বান্ধব পুজোর প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত মনোহরপুকুর বৈশাখী সংঘ। তাদের পুজো এবার ৭০তম বর্ষে পদার্পণ করলো। আমাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ক্লাব এর প্রেসিডেন্ট উর্মিলা সেনগুপ্ত, ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি প্রবীর রায় এবং ক্লাবেরসদস্য সঙ্গীতা চাটার্জী। প্রতিবারের মতো এবারেও তাদের পুজোতে রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। চন্দননগরের জগধাত্রী প্রতিমার আদলে তৈরী মূর্তিই এই ক্লাবের পুজোর বৈশিষ্ট। উত্তম মঞ্চের পাশের মাঠে আয়োজন করা হয় মায়ের আবাহনের।স্নেহময়ী, প্রেমময়ী মাতৃমূর্তি দেখতে প্রতিবছর ভিড় লেগেই থাকে এই মন্ডপে। এই বারের প্রতিমাশিল্পী চন্দননগরের প্রবীর পাল ও একচালাঠাকুরের সাজ দিয়েছেন শ্রী দিলীপ ঘোষ। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অষ্টমী দিনে মায়ের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয় ।এই বছর এই ক্লাবের বিশেষ আকর্ষন মহিলা ঢাকি। ক্লাবের কালচারাল সেক্রেটারি মহানন্দা কাঞ্জিলাল বিশেষ ভাবে চেষ্টা করছেন যাতে মহিলা ঢাকি আনা যায়। এই বছরের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাড়ার সদস্যদেরসাথে উপস্থিত থাকছেন রামকৃষ্ণমঠের একজন স্বামীজি। ঈদের সাথে বিরোধ যাতে না হয় তাইজন্য এই ক্লাব দশমীর সন্ধ্যাতেই সিঁদুরখেলার পর প্রতিমা নিমজ্জনের ব্যবস্থা করেছেন।