টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় কী?

টেস্টোস্টেরন শরীরের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। কিন্তু এই নিয়ে আলোচনা করতে অনেক পুরুষই খুব সংকোচ বোধ করেন। এমনকি মহিলারাও এই নিয়ে সচেতন নন। এই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ হরমোন বিষয়ে পরামর্শ দিলেন ইউরোলজিস্ট এবং আন্ড্রোলজিস্ট ডঃ প্রবীর বসু…

হাইলাইটস:

১। টেস্টোস্টেরন কম থাকলে কী সমস্যা দেখা যায়?

২। শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কীভাব বাড়ানো যেতে পারে?

৩। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে লাইফস্টাইলে কতটা প্রভাব পড়ে?

টেস্টোস্টেরন নিয়ে মহিলারা কীভাবে পুরুষদের সতর্ক করতে পারেন?

বর্তমান সময়ে মেল ইলেকট্রোরাল ডিসফাংশন একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে প্রত্যেকের ঘরে। কিন্তু অনেক পুরুষরাই এই বিষয়ে সংকোচ বোধ করেন আলোচনা করতে, আর তাই তারা সহজে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেন না। এক্ষেত্রে যদি মহিলারা, পুরুষদেরকে এই বিষয়ে সতর্ক করেন এবং যদি কখনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়ার জন্য জোর দেন, তাহলে পুরুষদের মধ্যে দিয়ে সংকোচ ভাব কাটবে এবং তারা তাদের সমস্যার সহজে সমাধান খুঁজতে পারবে।

এছাড়াও টেস্টোস্টেরন প্রবলেমকে মূলত পুরুষগণিত সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু বর্তমান সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের জন্যও টেস্টোস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

টেস্টোস্টেরন কম থাকলে কী সমস্যা দেখা যায়?

এটি একটি কিং হরমোন। কিন্তু আমরা সাধারণত টেস্টোস্টেরনকে শুধুমাত্র একটা মেল হরমোন বলেই উল্লেখ করে থাকি। টেস্টোস্টেরন শরীরে কম থাকলে মেল সেক্সচুয়ালিটি ডাউন, ইলেকট্রাল ডিসফাংশন হবে। এছাড়াও ব্রেন ফাংশান, বোন ফাংশঅন এবং হার্ট ফাংশন নির্ভর করে টেস্টোস্টেরনের উপর। অর্থাৎ শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ রাখার জন্য খুব প্রয়োজনীয় হরমোন এটি। শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য নয়, এটি কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।

লো টেস্টোস্টেরন সমস্যা দেখা দিলে কী করা উচিত?

প্রথমেই সেটা নিয়ে ভয় না পেয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। সমস্যা প্রাথমিক স্টেজে থাকলে, খুব সহজে অল্প ঔষধ ও চিকিৎসার মাধ্যমেই রোগের নিরাময় হওয়া সম্ভব।

কিন্তু যদি সমস্যা ফেলে রাখা হয় তবে এটি অনেক বেশি ক্ষতিকারক হয়ে দেখা যায়। শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও এটি অনেক ক্ষতি করে।

শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে?

এই হরমোন শরীরে বাড়াতে গেলে সর্বপ্রথম দরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। যারা শরীরচর্চা করেন, এমন অনেকে শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য টনিক খেয়ে থাকেন। কিন্তু সেটা শরীরে স্বাভাবিকভাবে হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

তবে এবিষয়ে যে অভ্যাসগুলি তৈরি করা খুব দরকার, তা হল-

১। ডায়েট ( শুধু প্রোটিন নয়, খাবারে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট থাকাও সমান প্রয়োজন)

২। শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজ

৩। ভিটামিন ডি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম

৪। মেডিটেশন

এছাড়াও মিষ্টি শরীরে ইনসুলিন স্পাইক করে। যদি সেটা কন্ট্রোল করতে চান, তবে মিষ্টি খাওয়ার আধঘন্টা আগে স্যালাড খেতে হবে। স্যালাডে ফাইবার থাকে। ফলে, ইনসুলিন স্পাইক বা গার্ড ব্যাকটেরিয়া কন্ট্রোলে থাকে। এছাড়াও এক্সারসাইজ করতে হবে সকালবেলা। ফলে সারাদিন শরীরে টেস্টোস্টেরন ভারসাম্য মেনটেইনে থাকবে।

শরীরে টেস্টোস্টেরন কম থাকলে, সেটি মেয়েদের উপর কেমনভাবে এফেক্ট করে?

মহিলাদের শরীরেও এই হরমোন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস, সেক্সচুয়ালিটি কম হওয়া, হাড় ও মাংসপেশির জোর কমে যাওয়া এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই তাদেরকে টেস্টোস্টেরন দেওয়া গেলে এই সমস্যা দূরীকরণ হয়।

এছাড়াও ৪০ পেরিয়ে যাওয়া মহিলাদের নানান হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রেও টেস্টোস্টেরন তাদের পক্ষে উপযোগী।

দর্শকদের প্রশ্ন:

এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে লাইফস্টাইলে কতটা প্রভাব পড়ে?

শরীরে টেস্টোস্টেরন কম থাকলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সমাধান আসবে, ব্রিদিং এক্সারসাইজ এবং ভেগাস নার্ভ অ্যাক্টিভেশন করতে পারলে।

টেস্টোস্টেরন কম হওয়ার কারণ কী?

অনেকের সহজাত সমস্যা থাকে। এছাড়াও টেস্টোস্টেরন ইঞ্জেকশন নেওয়া, স্ট্রেস ইত্যাদি সব কারণে শরীরে এই হরমোন কম উৎপাদিত হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...