দেবীপক্ষের সময় আগত তাই প্রত্যেকটি ক্লাব এখন ব্যাস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে।আর এই পিকটাইমে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন মানিক তলা টিকিয়া পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ক্লাব সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অরিজিৎঘোষ, উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের এক্সিকিউটিভ রাজেস কুমার জয়েসওয়াল ও সেক্রেটারি অভিজিৎ ঘোষ।পুজোর আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন সঞ্চালিকা মনীষার সাথে।উত্তর কলকাতার পুরোনো পুজোর মধ্যে এক অন্যতম পুজো হল মানিকতলা টিকিয়া পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো।১১৪ বছরের এই পুজো উত্তর কলকাতায় আজও বিদ্য মান।এত পুরোণো পুজো হওয়া সত্বেও সাবেকিআনাই তাঁদের মুল বিষয়।চারিদিকের এত থিম পুজোর মাঝে কোথাও যেন পুরোনো কলকাতার দুর্গা পুজোর ঐতিহ্য বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে তারা। বর্তমানে সার্বজনীন হলেও প্রথমে তা ছিল এক ঘরোয়া পুজো।কালক্রমে একান্ন বর্তী পরিবারের এই পুজো সকলের পুজো হয়ে ওঠে।সপ্তমীর দিন কলাবউ স্নান থেকে শুরু করে অস্টমীর দিন সন্ধী পুজোয় ৫১ রকম মিষ্টান্ন দিয়ে মায়ের ভোগ সাজানো বা নবমীর দিন সকল দর্শনার্থীদের জন্য খাওয়াদাওয়ার এলাহী আয়োজন, পুজোর এই চারটি দিন নাভিশ্বাস উঠে যায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের।কিন্তু এত ব্যাস্তাতার মধ্যেও দর্শনার্থীদের জন্য পরিষেবার কোনো ক্ষামতি থাকে না।পুজোর চারটি দিন ২৪ ঘন্টা থাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির।সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য বিষয হল তাদের কুমারীপুজো।প্রতি বছর নবমীর দিন পাড়ার একজন সধবামহিলা এই পুজো করে থাকে।চিরাচরিত এই প্রথা আজও পালন করে আসছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।