“মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান” – কাজি নজরুল ইসলামের এই সৃষ্টির জলজ্যান্ত উদাহরণ হল খিদিরপুরের মনোশাতলা সার্বজনিন। যেখানে জাতির ভেদাভেদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্গোৎসবের আয়োজন করে। ১৯৮০ সালে প্রাক্তন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা কলিমুদ্দিন শামসের হাত ধরে শুরু এই পুজোর পথচলা। সময়ের সাথে সাথে পুজো হাতবদল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আজ অবধি সাবেকিয়ানা ত্যাগ করেন নি তারা। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে সাবেকি রুপেই মায়ের আরাধনা করে আসছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হবে না। কারণ সাবেকিয়ানাই তাদের অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে। পুজো ছাড়াও বছরভোর বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে নিযুক্ত থাকে তারা। তা সে রক্তদান শিবিরই হোক বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কোনো কিছুতেই পিছিয়ে নেয় তারা। পুজোর কটা দিন ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৪ই অক্টোবর অর্থাৎ চতূর্থীর দিন উদ্বোধন দিয়ে শুরু হবে এই পুজোর পথচলা