ত্বকের বয়স বাড়লে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। রিঙ্কলের সমস্যা ও ফাইন লাইন্স ঝামেলায় ফেলে। ত্বকে বলিরেখা বা দাগ দেখা দিলে ত্বকের ধরনও বদলে যায়। মেকআপের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সেই সব সমস্যা এড়িয়ে কীভাবে মেপআপ করবেন? ‘ম্যাচিওর স্কিন’-এ মেকআপ করার পদ্ধতি কী?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন মেকআপ আর্টিস্ট অর্পিতা গাঙ্গুলি।
মেকআপ আর্টিস্ট অর্পিতা গাঙ্গুলি বলেছেন, ম্যাচিওর স্কিনে রিঙ্কল ও ফাইন লাইন্স বেশি দেখা যায়। তবে আজকালকার দিনে অনেক ইয়ং স্কিনেও এই ফাইন লাইন্সের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত স্কিনের সমস্যার তৈরি হয় স্কিনের ডিহাইড্রেশানের ফলে। মেয়েরা যখন সন্তান জন্ম দেন তখনও মুখের ত্বকের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। রিঙ্কল বা ফাইন লাইন্স দেখা দিলে মেকআপ করার সময় রিঙ্কল লাইনগুলি প্রমিনেন্ট হয়ে যায় এবং কোথাও গিয়ে যেন ব্লেন্ডিং হয় না। তাই জন্যে মেকআপ করার আগে স্কিনটাকে ভাল করে ক্লিন করে নিতে হবে। এরপর একটু বেশি পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। তারপর প্রি-মেকআপ বা প্রি প্রাইম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েল রয়েছে যেগুলি স্কিনে ব্যবহার করা যেতে পারে। এবার প্রাইমার ব্যবহার করে নিতে হবে। মেকআপ করার ক্ষেত্রে সব সময় মনে রাখতে হবে লাইট কালার আমাদের লুকটা হাইলাইট করে আর মেকআপের মাধ্যমে কোনও কিছু ঢাকতে ডার্ক কালার ব্যবহার করতে হয়।
ম্যাচিওর স্কিনে সব সময় কম মেকআপ পাউডার ব্যবহার করতে হবে। কারণ এর ফলে স্কিন আরও শুষ্ক হয় যায়। যত ত্বকের বয়স বাড়ে ততই আরও শুষ্ক হয়। তাই রিঙ্কল বা ফাইন লাইন্স দেখা দেয়। তাই সব সময় লিকুইড বেস মেকআপ ব্যবহার করা উচিত। তবে মেকআপ করার সময় মূলত তিনটি জিনিস সঙ্গে রাখাই যথেষ্ঠ। এগুলি হল কাজল, লিপস্টিক ও কনসিলার। অনেকের হিট র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তখন শশা, তরমুজ ও অন্যান্য ফল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও পুদিনার জল বা পুদিনা পাতার চাটনি খাওয়া উচিত।
ম্যাচিওর স্কিনে মেকআপের জন্য প্রথমে স্কিনে ওয়াটার ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার ময়েশ্চারাইজিংয়ের জন্য একটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যেটি স্কিন ময়েশ্চারাইজ করার পাশাপাশি রিঙ্কল ও ফাইন লাইন্সগুলিকে আরও সফট করে দেবে। তারপর প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। এবার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের ডার্ক প্যাচেস গুলি ঢাকতে ওরেঞ্জ কনসিলার ব্যবহার করতে হবে।
স্কিনে কনসিলার ব্যবহারের পর কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে নিতে হবে। স্কিনের এক্সট্রা মেকআপ পাউডার সড়িয়ে নেওয়ার জন্য বুউটি ব্লেন্ডারটাকে জলে ভিজেয়ে মুখে ড্যাপ করে নিতে হবে। চোখে আইশ্যাডোর কালার সব সময় নিজের ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করতে হবে। ক্রিজ ব্রোর্ণ কালার করে নিতে লাইট কালারের মাধ্যমে। আর চোখের আউটার কর্ণারে লাইট কালার ব্যবহার করতে হবে। তারপর চোখের উপর হাইলাইট করে নিতে হবে গোল্ড কালারের মাধ্যমে। আর ডার্ক ব্রাউন কালার দিয়ে আইব্রো লাইন কালার করতে হবে। এবার মাস্কারা ব্যবহার করতে হবে। চোখের তলায় লাইট শেড করে নিতে হবে। তারপর চোখের বর্ডার লাইন করে নিতে হবে লাইনারের মাধ্যমে। এই লুকের সঙ্গে চুলের সফট ক্যার্ল করা যেতে পারে। আর শেষে খুব গ্লসি কালারের একটি লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। এই লুকের সঙ্গে একটি ডার্ক রেড টিপ ট্রাই করতে পারেন।