হাসি-খুশি মেজাজ কীভাবে হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার টনিক, জানেন?

সকালে উঠে জিমে যাওয়া বা এক্সারসাইজ করা, সুস্থ থাকার জন্য এই সব কিছু। কিন্তু শুধু মাত্র এক্সারসাইজ বা জিমে গেলেই সুস্থ থাকা যায় না, তার জন্য সবচেয়ে জরুরি মন ভাল রাখা বা নিজেকে খুশি রাখা। আসলে খুশি থাকাটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু কাজের চাপ সামলে খুশি থাকাটা সত্যি খুব কঠিন। তাই কীভাবে সব সময় খুশি থাকাবেন? টিপস দিলেন হ্যাপিনেস লাইফ কোচ রাজশ্রী চক্রবর্তী।

তাঁর (Happiness Life Coach-Rajashree Chakraborty) মতে, নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য খুশি থাকা সবচেয়ে জরুরি। খুশি থাকার জন্য অতীত ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে হবে না বর্তমান সময়টা নিয়ে ভাবতে হবে। খুশি থাকাটা প্রতিটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তাই খুশি থাকলে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। সব খুশি থাকার জন্য কিছু এক্সারসাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে। ছোটবেলায় প্রায় প্রতিটা মানুষকে প্রতিদিন শুধু মাত্র তিনটি কাজ করতে হয়েছে। প্রথম, খাওয়া-দাওয়া করা। দ্বিতীয়, প্রতিদিন ঘুমনো ও তৃতীয়, খেলাধুলো করা। এমনভাবে আজও এই তিনটি কাজের মধ্যে দুটি কাজ খাবার খাওয়া ও ঘুমনো বন্ধ হয়নি। শুধু মাত্র বদলে গিয়েছে খেলাধুলোর অভ্যাস বদলে গিয়েছে এখন খেলাধুলোর বদলে সকলে কিছু না কিছু কাজ করছে। তাই ছোটবেলায় যেমন খেলাধুলো করবার সময় যেমন সবাই খুশি হত, ঠিক সেই রকমই এখন নিজের কাজ করার সময় খুশি থাকতে হবে। তাহলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।

খুশি থাকবার জন্য সামাজিক হওয়াটা জরুরি কিন্তু কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর কেউ যদি তার ভাল কাজ দেখার পর ভাবতে শুরু করেন যে ঐ ব্যক্তির চেয়ে তিনি সব ক্ষেত্রেই অনেকটা পিছিয়ে, তাহলে খুশি হওয়ার বদলে ডিপ্রেশন বাড়তে পারে ও মন খারাপ হয় যেতে পারে।

সব সময় খুশি থাকার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমোতে হবে, দিনে এক ঘন্টা মেডিটেশন করতে হবে, অনেকেই আছেন যারা অফিসে সারা দিন বসে কাজ করেন। কাজের ফাঁকে এক ঘন্টা পর পর কাজ থেকে বিরতি নিয়ে হেঁটে আসতে হবে, এছাড়াও যা পেয়েছেন সেটা নিয়েই খুশি থাকা উচিত। তাহলে মনও ভাল থাকবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...