সড়ক দুর্ঘটনায় আপদকালীন সময়ে কী কী করনীয়?

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে পথ দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতি বছর এক-দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়, সড়ক-দুর্ঘটনাপ্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান প্রথম দশে।

অনেক সময় শুধুমাত্র ট্রাফিক আইন না মানার জন্য এই ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে হয় মানুষকে। সড়ক দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তির প্রাণ বাঁচানোর জন্য কী কী করণীয়? সেই বিষয়ে জানিয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ রাহুল আনন্দ।

ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ রাহুল আনন্দ(Consultant Critical Care &  Emergency Medicine-Dr. Rahul Anand) জানিয়েছেন, 'হু'-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মানুষের অ্যাক্সিডেন্ট হয় সারা বিশ্বে, যার মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ‌ মানুষের মৃত্যু হয় এই অ্যাক্সিডেন্টের ফলেই। বিশেষ করে ১৮-৪৮ বয়সীরাই আজকাল সবচেয়ে বেশি রোড অ্যাক্সিডেন্টের শিকার হচ্ছে। তাই রোড ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট কমানোর জন্য সাধারণ মানুষকেই আরও সজাগ হতে হবে। ট্রাফিক রুলস মেনে চলাটাও খুব প্রয়োজনীয়।

অ্যাক্সিডেন্ট হলে সাধারণ মানুষ আহত ব্যক্তিকে সাহায্য না করে ফোনে তার ভিডিয়ো বা ছবি তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট পরের সময়টা ঐ আহত ব্যক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। না হলে তার প্রাণনাশেরও সম্ভবনা থাকতে পারে। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে যদি আহত ব্যক্তির ক্ষত স্থান থেকে যাতে রক্তক্ষরণ না হয়। তার জন্য ক্ষত স্থানে কোনও কাপড় দিয়ে চেপে রাখতে হবে। কাপড় না থাকলে হাত দিয়েও ক্ষত স্থান চেপে ধরে রাখতে হবে।

হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক আগে দেখবেন আহত ব্যক্তির নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় কোনও সমস্যা হচ্ছে কী না ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে‌ কী না? এবার সিটি স্ক্যান, এক্সরে ও অ্যালট্রা সাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে জানা হয় অ্যাক্সিডেন্টের ফলে তার কী কী সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপর চিকিৎসা শুরু করা হয়।

তবে সব সমস্যা আসবেই যদি সকলে ট্রাফিক রুল্স মেনে চলেন। সরকার এই বিষয়ে নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনেক ক্যাম্পেন করে। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট যাতে না হয় তার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...