একটি লালস্যুটকেস সুটকেস লুকিয়ে আছে রহস্য আর সেই সুটকেসকে কেন্দ্র করেই যত গন্ডগোল, সোহম চক্রবর্তী ও সায়নী ঘোষের পরবর্তি ছবি 'এল এস ডি'র গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে একটি লাল স্যুটকেস। ছবির পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে এই ছবি। তাই মুক্তির আগে জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় ছবির এই আশ্চর্য নামের রহস্য ফাঁস করলেন সোহম ও সায়নী।
প্র: এই ছবিতে প্রথমবার তোমাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এই ছবির নামটা এত ইউনিক কেন?
সোহম চক্রবর্তী: হ্যাঁ, ছবির নামটাই খুব ইন্টারেস্টিং। আসলে নামটা যদি একটু ক্যাচি হয় তাহলে ছবি নিয়ে আগেই ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। আর নামটা এই ছবির জন্যই দেওয়া হয়েছে। কারণ ছবিতে লাল সুটকেসটাও একটা চরিত্রে পরিণত হয়েছে। ছবির গল্পটাকে 'জাস্টিফাই' করার জন্য এই নাম দেওয়া হয়েছে।
প্র: সায়নী এই ছবিতে তোমার চরিত্রটার মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি রয়েছে
সায়নী ঘোষ: এটা আসক্তিরই গল্প। কিন্তু ছবির গল্প ড্রাগটাকে প্রোমট করছে না। বরং বোঝাতে চাইছে আমাদের জীবনটাই একটা ড্রাগ যদি তুমি উপভোগ করতে চাও। আর তার সঙ্গে কীভাবে একটা রাতের মধ্যে মানুষের গোটা জীবনটা বদলে যেতে পারে, সেটা নিয়ে ছবির গল্প। এছাড়াও প্রথমবার সোহমের বিপরীতে আমাকে দেখা গেল। যেটা দর্শকের ভাল লাগবে।
প্র: ছবির ট্রেলারে খুনের ঘটনা চোখে পড়েছে, কিন্তু ছবির শেষ কী মজার নাকি সিরিয়াস?
সোহম চক্রবর্তী: ওটাই তো প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তরটা জানতে ছবিটা দেখতে হবে।
প্র: তোমরা দুজনেই খুব ব্যস্ত অন্য কাজ নিয়ে। সেখান থেকে কীভাবে নিজের সময় বার করো ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য?
সোহম চক্রবর্তী: এটা আমাদের পরিচয়, এটা আমাদের প্যাশেন, তাই এটার জন্য আলাদা করে সময় বার করতে হয় এমনটা নয়। আমরা আগে থেকে শিডিউলটা ঠিক করে রাখছি। আমাদের যখন রাজনৈতিক কোনও কাজ থাকছে তখন আমরা সমর বার করে নিয়েছি। শুধু আমরা নয় এই ছবি অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী এভাবেই কাজ করেছে।
সায়নী ঘোষ: রাজনীতি হল একটা দায়িত্বের কাজ। সোহম, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক সকলেই নিজের রাজনৈতিক সকল দায়িত্ব পালন করেই এই ছবির শ্যুটিং করেছেন।
প্র: ছবির মিউজিক নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ছবির মিউজিক আমরা কখন শুনতে পারব?
সোহম চক্রবর্তী: ছবির মিউজিক নিয়ে আমিও উৎসাহী। স্যাভি অসাধারণ তিনটে গান তৈরি করেছে এই ছবির জন্য। একটা গান গেয়েছে সাহানা, একটা গেয়েছে আকৃতি কাক্কার ও একটা গেয়েছে রূপম ইসলাম। খুব তাড়াতড়ি এই গানগুলো রিলিজ করা হবে। আশা করছি দর্শকদেরও ভাল লাগবে।
প্র: এই ছবিটা কী সারা ভারতে রিলিজ করবে?
সোহম চক্রবর্তী: হ্যাঁ, ইচ্ছা রয়েছে প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ করার। কিন্তু তার আগে দেখেনি আমাদের রাজ্যের মধ্যে কেমন রেসপন্স পাই তারপর পরিধিটা আরও বাড়াব।
প্র: এখন আমরা বাঙালি হয় দেখতে যাই অন্য ভাষার সিনেমা। যে জন্য বাংলা সিনেমার হলগুলো ফাঁকা থাকে।
সোহম চক্রবর্তী: কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে যে প্রবাসী বাঙালিরা রয়েছে তারা কিন্তু উৎসুক হয় থাকেন বাংলা ছবি দেখার জন্য।
প্র: এই ছবি দেখার জন্য দর্শকদের তোমার কী বলবে?
সায়নী ঘোষ: ছবি দেখুন তারপরে বলুন ভাল না খারাপ। আর ভাল লাগলে ১০টা লোককে বলবেন। ভাল না লাগলে আপনাদের উপর আমি ছেড়ে দিলাম। কিন্তু আমরা ভীষণ খেটে কাজ, একটা ছবি করতে এক মাস লাগে। তাই সোহম প্রযোজক হিসেবে আর আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজের কাজটা চালিয়ে যেতে পারি এর ব্যবস্থা আপনাদেরকে করতে হবে। আর সেই জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দেখতে হবে 'এল এস ডি'। আমি আশা করছি সকলের ভাল লাগবে।
সোহম চক্রবর্তী: সায়নী সবটাই বলে দিয়েছে। তাই এখন শুধুমাত্র একটু সাপোর্ট চাই। আপনাদের কাছের সিনেমা হলে আসতে হবে এবং বাংলা সিনেমা দেখতে হবে।