কোমরের ব্যথা কি কিডনির সমস্যার লক্ষণ? কীভাবে সাবধান হবেন? জলের পরিমাণ এবং খাদ্যাভ্যাস কীভাবে কিডনিকে প্রভাবিত করে? একবার কিডনিতে পাথর হলে তা কি আবার ফিরে আসতে পারে? পরামর্শ দিলেন মেডিসিন স্পেশালিস্ট, ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফ্লুয়েন্সার ডাঃ সৌরভ সরকার (Dr. Sourav Sarkar, medicine specialist, digital content creator and influencer)
হাইলাইটসঃ
১। কিডনি স্টোন রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
২। জলের পরিমাণ কীভাবে কিডনিকে প্রভাবিত করে?
৩। বাচ্চাদের কি কিডনিতে স্টোন হতে পারে?
কিডনি স্টোন রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
বেশিরভাগ মানুষ কোমরে ব্যাথা হলে, সেটি কিডনি স্টোন রোগ ভেবে ভয় পান। কিন্তু শুধুমাত্র কোমরে ব্যাথা হলে সেটা কিডনি স্টোনের লক্ষণ নয়। এই রোগের বিশেষ লক্ষণগুলি হল –
১। লাল প্রস্রাব
২। প্রস্রাবে জ্বালা অনুভব
৩। অত্যাধিক কোমরে ব্যাথা (ব্যাথাটি কোমরের পিছন থেকে সামনের দিকে আসে)
তবে এই সমস্ত লক্ষণই কিডনির কোন স্থানে স্টোন হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু কিডনি স্টোন ছাড়াও আরেকধরণের kidney infection হতে পারে। এই রোগকে বলা হয় Pyelonephritis। এই রোগের লক্ষণেও কোমরে ব্যাথা ও জ্বরভাব লক্ষ করা যায়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষনীয়, কারোর যদি কোমরে ব্যাথার সাথে প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়, তবে তাদের তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জল কম খাওয়া কি কিডনি স্টোনের কারণ হতে পারে?
কিডনিতে পাথর থাকার নানা কারণ হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল গাঢ় ইউরিন। প্রস্রাবের মাধ্যমে আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থ নির্গত হয়। তাই গাঢ় প্রস্রাব হলে, তার ফলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। সে কারণে এই সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার অবধি জল খাওয়া উচিত।
এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখার জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। কিডনি স্টোনের রোগীদের রোজকার খাবারে নুন, রেড মিট, পালং শাক, বিট, আলু ইত্যাদি খাবার না খাওয়া উচিত।
সুস্থ থাকার জন্য কেমন লাইফস্টাইল মেনে চলা উচিত?
শরীর ভালো রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া ও প্রতিদিন শরীরচর্চা করা উচিত।
মেডিসিন না সার্জারি – কিডনি স্টোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে কোন পদ্ধতি সঠিক?
কিডনি স্টোনের ক্ষেত্রে, শরীরে সেই স্টোন বা পাথরের আকার খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাথর যদি ৫ মিলিমিটার থেকে ৭ মিলিমিটার অবধি হয়, তবে তা ঔষধ ও জলের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এর থেকে বড়ো আকারের স্টোন হলে, সেক্ষেত্রে সার্জারির সাহায্য নিতে হয়।
একবার কিডনিতে পাথর হলে তা কি আবার ফিরে আসতে পারে?
হ্যাঁ, কিডনিতে একবার পাথর হলে সেটি বারংবার হতে পারে। এর জন্য রোগীদের প্রয়োজন বাড়তি কেয়ার।
বাচ্চাদের কি কিডনিতে স্টোন হতে পারে?
হ্যাঁ, বাচ্চাদের শরীরেও কিডনি স্টোন হতে পারে। কিন্তু সেই হার অনেক কম।