সঠিক জীবনযাপন করলেও কিডনির সমস্যা কেন হতে পারে? নেপথ্যে কী কী কারণ রয়েছে? কিডনির সমস্যা কি বংশগত? গর্ভবতী মায়ের যদি কিডনির সমস্যা থাকে তার থেকে কি সন্তানের সমস্যা আসতে পারে? বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ প্রতীম সেনগুপ্ত (Dr Pratim Sengupta, MD medicine DM Nephrology)
হাইলাইটসঃ
১। সঠিক জীবনযাপন করলেও কিডনির সমস্যা কেন হতে পারে?
২। কিডনি ভালো রাখার জন্য কী করা উচিত?
৩। অতিরিক্ত জল খাওয়া কী কিডনির পক্ষে ভালো?
সঠিক জীবনযাপন করলেও কিডনির সমস্যা কেন হতে পারে?
কিডনির সমস্যার শুধুমাত্র সঠিক জীবনযাপনের উপর নির্ভর করে না। বিভিন্ন কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই এই সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে অজান্তেই নানান ক্ষতিকারক পদার্থ আমাদের শরীরে ঢুকছে। যেমন, যদি কোন অঞ্চলের জলের গুণমান খারাপ থাকে, সেখানে স্বাস্থ্যকর মনে করে জল খাওয়া হলেও সেটি শরীরের ক্ষতি করে।
এছাড়াও জেনেটিক কারণে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিডনির কোন সমস্যাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে এড়িয়ে চলেন রোগীরা?
কিডনির অসুখকে 'সাইলেন্ট কিলার' বলা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনির অসুখের জন্য প্রায় কোন লক্ষণই দেখা যায় না। সেই কারণে ২৫ বছর বয়সের পর থেকে, প্রতি বছর নিয়ম করে একটি কিডনির টেস্ট করানো উচিত। কিন্তু সাধারণ কিছু লক্ষণ লক্ষ্য করা যেতে পারে -
১। পা ফুলে যাওয়া
২। প্রস্রাবে ফেনা
৩। ক্লান্তি
৪। হালকা ঘুম
৫। কম খিদে
৬। ভুলে যাওয়া
কিডনি ভালো রাখার জন্য কী করা উচিত?
১। সুষম খাবার খেতে হবে
২। রোজ নিয়ম করে এক্সারসাইজ করতে হবে
৩। মানসিক শান্তি বজায় রাখা জরুরি
৪। নিয়মিত কিডনি টেস্ট করতে হবে
কিডনির সমস্যা কী জিনগত হতে পারে?
হ্যাঁ, জিনগত ভাবে কিডনির সমস্যা আসতে পারে। তবে একটি ভুল ধারণা আছে যে, গর্ভাবস্থায় মায়ের কিডনির সমস্যা থাকলে বাচ্চার মধ্যেও সেই সমস্যা আসে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
অতিরিক্ত জল খাওয়া কী কিডনির পক্ষে ভালো?
অনেকে কিডনির সমস্যার জন্য সঠিক পরিমাণে জল খান। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই জল খাওয়া যেন অতিরিক্ত না হয়। যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের ক্ষতি করে।
কিডনি সুস্থ রাখার জন্য টিপস:
১। প্রথমেই জানতে হবে, কিডনির অসুখ কোন লক্ষণ ছাড়াই হতে পারে।
২। কিডনি সুস্থ আছে কিনা বোঝার জন্য ডাক্তারি টেস্টের সাহায্য নিন।
৩। নুন কম খান।
৪। ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার কন্ট্রোলে রাখা খুব জরুরি।
৫। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যানিম্যাল প্রোটিন ক্ষতিকারক।
৭। প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন।
৮। সুষম খাবার খান।
৯। পেইন কিলার কম খাবেন। এটা কিডনির পক্ষে ক্ষতিকারক।
১০। মানসিক শান্তি বজায় রাখুন।