চিরঞ্জিত প্রসঙ্গে ধরা দিলেন ‘অচেনা চিরঞ্জিত’

'জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার' শোয়ে আজ অতিথি অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বৈশাখী আড্ডায় চিরঞ্জিত প্রসঙ্গে ধরা দিলেন ‘অচেনা চিরঞ্জিত’

প্রঃ দূরদর্শনে নিউজ রিডিং করতেন একসময়, কবে মনে হল অভিনয় করবেন? প্যাশনটা কি ছোটবেলা থেকে ছিল? 

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ হ্যাঁ, অভিনয়ের ইচ্ছে ছোট থেকেই ছিল। আমার জিবনের প্রথম অভিনয় আমি যখন পাঁচ কি ছয় বছর পাড়ায় স্টেজ করে নাটক হয়েছিল ‘ডাকঘর’, তাতে আমি ‘অমল’ হয়েছিলাম। ওটিয়া প্রথম। তারপর আমার স্কুল মিত্র ইন্সটিটিউশন আর ইউনিভার্সিটি যাদবপুরে নাটক চলেছে। আমাদের গ্রুপ ছিল ‘ প্রবাহ’। টেলিভিশনে যখন গেলাম মনে হল সিনেমা বানাব। সেটা করতে গিয়েই মানিকদার সঙ্গে আলাপ হল। তিন্টে ছবির সঙ্গে ছিলাম। প্রায় ৫-৬ বছর।

প্রঃ কোন কোন ছবি?

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ

প্রঃ ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ থেকে শুরু। সন্দেশের কভার পেজ করতে দিয়েছিলেন। রেয়ারেস্ট ঘটনা। তখন ১৮ বছর বয়স আমার। কবিতা, স্কেচ সব চলছিল। ভেবেছিলাম ইন্টার ন্যাশনাল ডিরেক্টর হব। আমার বন্ধু ছিল মিঠুন। ও তখন সবে মৃগয়া করেছে। ও হিরো হতে চাইত আর আমি ডির ক্টর। দূরদর্শনে নিউজ পড়ছি তখন ছবির অফার  ল। ‘সোনায় সোহাগা’ আমার প্রথম ছবি।

প্রঃ অভিনয়ের মতো অনিশ্চিত পেশায় আসতে বাধা আসেনি?

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ না, সেরকম কিছু হয়নি এই জন্য যে আমি আর্টিস্টের ছেলে। বাবা ছিলেন ম্যাথামেটিক্সে অনার্স করা মানুষ, তিনিও কিন্তু পেইন্টার কার্টুনিস্ট হয়েছিলেন। বাবা শুধু আমার কমার্শিয়াল ছবিতে কামার কাজ করা পছন্দ করেননি। এই সব মিলিয়ে আমার নিজের নামটাকে বদলাতে হয়েছিল। ‘দীপক চক্রবর্তী’ থেকে ‘চিরঞ্জিত’। যখন বাবার মতো, পরিবারের মতো কাজ করব তখন আবার ব্যবহার করব ভেবেছিলাম।

প্রঃ যে কারণে নাম চেঞ্জ করা ডেরিক্টরিয়াল ডেবিউ কবে এল? 

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ এল। কিন্তু ‘চিরঞ্জিত’র কাছে। দীপকে ফেরা গেল না। দীপক একটাই ছবি করেছিল। আমার সেরা যে কেউ বলবে-‘ভয়’। সেই ছবিতে। জাতীয় পুরস্কারের নমিনেশন পেয়েছিল। অসাধারণ অভিনয় কর ছিল দেবশ্রী রায়।

প্রঃ আপনার একটা ডায়লগ লোক প্রচন্ড জনপ্রিয়, লোক মিমিক্রি করে, কীভাবে একসেপ্ট করেন?

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ আমার দারুণ লাগে। ৩২ বছর পর ও আমার এক নম্বর ডায়লগ। বদলাতে বদলাতে একখন অন্য ফর্ম নিয়েছে একটা।

প্রঃ আপনার একটা বই প্রকাশিত হয়েছে, সেই বই সম্পর্কে জানতে চাই

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীঃ আমায় কেউ বলেছিল যে আমার সম্পর্কে বই লিখবে। আমি তাকে ভাল করে বোঝাই যে আমি এই ব্যাপারটায় একেবারে ইন্টারেস্টেড নই। তারপর আমার কাছে একজন আসে। মেদিনীপুরের এক গ্রাম থেকে একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন উনি। আমার ওপর একটা বই করতে চান।  আমার সম্পর্কে বিভিন্নজন লিখবে। তিনি একটা সংকলন বের করেন। বইয়ের কাজটা খুব ভাল না হলেও ব্যাপারটায় আমার একটা ইন্টারেস্ট তৈরী হয়। তারপর আবার নতুন করে প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে আরও অনেকের লেখা নিয়ে নতুন বই ‘প্রসঙ্গ চিরঞ্জিত’ প্রকাশিত হয়। আরও একটি বইয়ের কাজ চলছে। সেটার সঙ্গে আমি যুক্ত। বাবার সূত্রে এবং নিজের সূত্রে যত সেলিব্রিটির সঙ্গে মিট করেছি তাদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা।    

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...