এইচআইভি ও এইডস থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কী?

এডস। এমন একটি রোগ যা একবার শরীরে প্রবেশ করলে তার চিকিৎসা চিকিৎসা সঠিক সময় না করলে প্রাণ নাশের আশঙ্কা থেকে যায়। হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এডস হয়ে। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর শ্বেত রক্তকণিকার সিডি-৪ লিম্ফোসাইট নামক কোষকে খেয়ে ফেলে। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাহলে এডস এর লক্ষণগুলি কী কী? এইচআইভি আর এডসের মধ্যে পার্থক্য কী?

এই বিষয়ে নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডাঃ শাহিদ হায়দার ওয়ার্সি।

ডা: শাহিদ হায়দার ওয়ার্সির জানিয়েছেন, এইচআইভি ও এডস সম্পূর্ণ আলাদা ভাইরাস। এইচআইভি হচ্ছে একটি আরএনএ ভাইরাস। সাধারণত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি কারুর সাথে যৌন সংসর্গে আসেন তাহলে সেই ব্যাক্তিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। এছাড়াও আরও অনেক ভাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।  তবে এইচআইভি থেকে এডসে পরিণত হতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। 

এইচআইভি হলে প্রথমে দু সপ্তাহ পরে জ্বর, শরীর ব্যথা, সর্দি-কাশি হবে। কিন্তু তারপর ঠিক থাকবে শরীর। এর পরের পর্যায় এই রোগ এডসে পরিণত হবে। এডসের পরিণত হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ জ্বর হলেও কোনো ওষুধ কাজ করবে না। এডস হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এছাড়াও শরীরের অন্যান্য থাকলে তা আরও বেড়ে যাবে, ওজন কমে যাবে, প্রচুর ঘাম বেরোবে শরীর থেকে ইত্যাদি। তবে এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর শরীরে ক্ষতি হয়ে না এটি এডসে পরিণত হওয়ার পরেই ক্ষতি হয়ে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি এইচআইভি থেরাপি করা হয়ে। তবে একবার এডস ধরা পড়ার পর সব সময় ওষুধ বন্ধ করলে চলবে না।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...