বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় আইভিএফ কতটা কার্যকরী?

বহু চেষ্টার পরেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় অনেক দম্পতির। এই সমস্যাকে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বলা হয়। নারী অথবা পুরুষ যে কোনও একজনের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আইভিএফচিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন গাইনোকলজিস্ট ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা।

গাইনোকলজিস্ট ডাঃ ইন্দ্রনীল সাহা বলেছেন, যখন কোনও দম্পতি শিশু জন্ম দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও যদি গর্ভবতী না হয় তখন বুঝতে হবে সেই নারী অথবা পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা রয়েছে। তবে এই সমস্যা থাকলেই যে আইভিএফ করতে হবে এমনটা নয়। এছাড়াও বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার থেকে বন্ধ্যাত্ব সমস্যা সমাধান সম্ভব। তবে এই সব পদ্ধতি যদি কাজ না করে তখন আইভিএফপদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। তবে আইভিএফকরার আগে মহিলাদের থাইরয়েড বা ডায়েবিটিস থাকলে তখন সেটা ওষুধের মাধ্যমে কমাতে হবে আর পুরুষদের ধুমপান ও মাদকদ্রব্য সেবন করা বন্ধ করতে হবে। সব থেকে বড় হল তাকে মানসিক দিক থেকে সাপোর্ট দিতে হবে।

যেহেতু এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় খরচ অনেক বেশি। তাই অনেকের পক্ষে এই সুবিধা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে খুব শীঘ্রই 'পি.জি'তে শুরু হবে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা। আইভিএফপদ্ধতিতে জন্মেছে এমন শিশুদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যার দেখা দিতে পারে। এটা সত্যি না। কিন্তু আইভিএফ-এর ইনজেকশন দেওয়ার পর ওভারিতে অনেক সময় বেশি পরিমাণে ডিম উৎপন্ন হয়। যেটা ভাল না। কোনও মহিলার বয়স যদি ৪৫ বছরের উপরে হয় যায় তাহলে সে আইভিএফ করতে পারবে না আর কোনও পুরুষের বয়স যদি ৫০ বছরের উপরে হয় যায় তাহলে সে আইভিএফকরতে পারবে না। যত কম বয়সে আইভিএফকরা হবে সাকসেস রেট ততটা বেশি থাকবে।

আইভিএফ পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো লাগে। সাকসেস রেট বয়স আর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করছে।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...