Monsoon Hair Loss : বর্ষায় চুল পড়া বন্ধ করবেন কীভাবে?

বর্ষাকালে চুলের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চুল পড়া ও স্ক্যাল্পে ফাংগাল ইনফেকশন আমাদের নিত্যদিনের সমস্যা। এই সমস্ত সমস্যার সমাধানের উপায় দিলেন অভিনেত্রী রোহিনী চ্যাটার্জি...

Highlights:

 ১।বর্ষাকালে কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায়?

২। কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত?

৩। হোম রেমেডির মাধ্যমে কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায়?

বর্ষাকালে কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায়?

বর্ষাকালে চুল পড়া আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা। কিছুদিন অন্তর শ্যাম্পু করাটাই আমরা তার সমাধান বলে মনে করি। কিন্তু এক্ষেত্রে চুলে তেল লাগানো সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শ্যাম্পু করার আগের দিন ওভার নাইট চুলে তেল লাগিয়ে রাখলে চুল ফ্রিজি হবে না।

কী তেল ব্যবহার করা উচিত?

মূলত নারকেল তেল ব্যবহার করাটাই সব থেকে ভালো। কিন্তু প্রয়োজনে তার সাথে ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা যায়। তবে যাদের তৈলাক্ত স্ক্যাল্প, তারা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার না করে নারকেল তেলের সাথে রোজমেরি অয়েল ব্যবহার করা ভালো।

রোজমেরি অয়েল স্ক্যাল্পে ফাংগাল ইনফেকশন কমাতেও সাহায্য করে।

অভিনেত্রী অভিনেতারা কীভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন?

যারা অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত, তাদেরকে প্রত্যেকদিন চুলে বিভিন্ন হেয়ারস্টাইল করতে হয়। ফলে চুলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। তাই শুটিং শেষ হলে ড্যামেজ চুলে অয়েল বা সিরাম লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করলে চুলের জট অনেকটা ছেড়ে যায় ও কেমিকাল স্প্রে থেকেও চুল মুক্তি পায়।  

আর যখন শুটিং থাকবেনা তখন হেয়ার স্টাইলিং-এর ক্ষেত্রে কোনরকম মেশিনারি প্রোডাক্ট ব্যাবহার না করাই ভালো। কারণ, বর্ষাকালে হিট স্টাইলিং চুলকে আরও ডিহাইড্রেট করবে।

চুলে খুশকি দূর করার উপায়?

চুলে খুশকি হলে আন্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে খুশকির সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত?

চুলে সব সময় সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার ভালো। এছাড়া সারাবছর কন্ডিশনার ব্যাবহার না করলেও বর্ষাকালে চুল কন্ডিশনিং করা অবশ্যই দরকার। শ্যাম্পু করার পর ২০ মিনিট কন্ডিশনার লাগিয়ে তারপর চুল ধুয়ে নিলে, সেটা চুল উজ্জ্বল ও হেলদি করে।

হোম রেমেডির মাধ্যমে কীভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায়?

বিট, কমলালেবু, আমলকি, আদা এই সব একসাথে নিয়ে মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে সেটি চুল অনেক হেলদি করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও একটি পাত্রে ছোট পেঁয়াজ, মেথি দানা, কারিপাতা, সাদা তিল ও নারকেল তেল ভালো করে ফুটিয়ে সেটা ছেঁকে স্টোর করে রাখা যায়। এই তেল চুলের পক্ষে খুব ভালো। এটি প্রায় ১০ দিন অবধি স্টোর করে রাখা যায়।

চুলে কেমন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত?

ঘরোয়া ভাবে তৈরী যেকোন মাস্ক ব্যবহার করা চুলের পক্ষে ভালো। এক্ষেত্রে ডিম, দই, কলা এবং মধুর মিশ্রণে একটা পেস্ট তৈরি করে সেটা চুলে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, হেয়ার মাক্স ব্যবহার করার সময়ে চুল যেন পরিস্কার থাকে।  

এ বিষয়ে অভিনেত্রী দর্শকদের কিছু প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।

চুল ভালো রাখার জন্য তেল ব্যবহার করাটা কতটা জরুরী?

তেল হালকা গরম করে চুলে লাগালে চুলের পক্ষে ভালো। তেল গরম করারও একটা পদ্ধতি রয়েছে। বাটির মধ্যে তেল নিয়ে সেটি ফুটন্ত গরম জলের উপর রাখলে তেলটি হালকা গরম হয়ে যায় এবং এই উপায়ে তেল গরম করলে তেলের গুনাগুন নষ্ট হয় না।

চুলের স্প্লিট এন্ডস থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে?

দু-তিন মাস অন্তর চুল হালকা ট্রিম করে নিলে স্প্লিট এন্ডস থাকবে না এবং ঘুমানোর আগে বিনুনি করে ঘুমাতে গেলে চুল অনেক হেলদি থাকবে। এছাড়াও মোটা দাতের চিরুনি ও সুতির বালিশের কভার ব্যবহার করা উচিত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...