২০২২-এ সারেগামাপা’র (Sa Re Ga Ma Pa) মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন তিনি। তাঁর জীবনে গান ছাড়া আর দ্বিতীয় স্বপ্ন নেই। রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে কীভাবে এলেন প্লে-ব্যাক সিঙ্গারের জীবনে? নিজের ব্যান্ড ‘ইনসিঙ্ক’(INSYNC) নিয়ে কী তাঁর ভাবনা? টলিকথার আড্ডায় সেই গল্প শোনালেন গায়িকা অস্মিতা কর (Ashmita Kar, Singer)
প্রঃ ২০১৩ থেকে সারেগামাপার সঙ্গে তোমার লম্বা জার্নি। ২০১৩তে লিটল চ্যাম্প, ২০১৬তে জি টিভি সারেগামাপা টপ-৯। ২০২২-এ সারেগামা উইনার।
অস্মিতা করঃ ২০১৩ মানে আমি তখন স্কুলে ক্লাস নাইন। সেই সময় থেকে জার্নি শুরু। পরপর অভিজ্ঞতা হতে হতে ফাইনালি ২০২২-এ চ্যাম্পিয়ন। সত্যি লম্বা জার্নি!
প্রঃ ২০২২-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ২০২০তে অলরেডি ডেবিউ করে ফেলেছিলে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে। ‘তানসেনের তানপুরা’র অফার যখন পেলে তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
অস্মিতা করঃ ‘তানসেনের তানপুরা’র অফার পেয়েছিলাম দ্য ওয়ান অ্যান্ড অনলি জয় স্যার মানে জয় সরকারের থেকে। সারেগামাপার সূত্রে পরিচয়। এতো ভাল মানুষ, এত জ্যেনুইন আর্টিস্ট নিজে থেকে বলেন এই প্রোজেক্টের কথা। যেখানে গোটা স্টোরিটা মিউজিক বেসড। তাও আবার ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের ওপর। যখন জানতে পারলাম যে সত্যি সত্যি আমি দুটো গান গাইছি সিরিজে তখন অবিশ্বাস্য লেগেছিল। এতো বড় সুযোগ আসবে ভাবতে পারিনি। শুধু মনে হয়েছিল আমার বেস্ট অয়েতে প্রেজেন্ট করার। যাতে স্যারের মান রাখতে পারি।
প্রঃ ২০২০তে ডেবিউ করে ফেলেছিলে, ২০২২-এ আবার প্রতিযোগী হলে, কোথাও কি উইনার হওয়ার স্বপ্নটা জড়িয়ে ছিল?
অস্মিতা করঃ অনেকেই হয়ত এটা ভাববে কিন্তু আমি উইনার হব বলে সারেগামাপাতে আবার গেলাম-এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ প্লেব্যাক করছি এটা ঠিক, তবে এই রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চ সাধারণের কাছে যে পরিচিতি দেয় সেটা অন্য কোনও মিডিয়াম দিতে পারে না- আমার যতদূর মনে হয়। তাই যখন আমি দেখলাম সারেগামাপা আবার সছে তখন মনে হয়েছিল এতো দিন যে অভিজ্ঞতাটা হয়েছে তাতে এবার আবার সেরাটা দিতে পারব। সেটা ভেবেই আবার আমার যাওয়া।
প্রঃ তোমার ডেবিউ ২০তে, তারপরই করোনায় সব প্রায় বন্ধ, সেই সময়টা কেমন কেটেছিল?
অস্মিতা করঃ ওই সময় স্টেজ, ইভেন্ট, লাইভ প্রোগ্রাম সব বন্ধ হয়েছিল। ডিপ্রেসিভ ফেজে সভবাই, কিন্তু সেই পরিস্থিতিটা মি খুব ফেস করিনি কারণ লোপাদি, মানে লোপামুদ্রা মিত্রর গানের স্কুলে আমি বাচ্চাদের গান শেখাতাম। সেভাবেও আমি অনেক কিছু শিখেছি।
প্রঃ তোমার নিজের ব্যান্ড ‘ইনসিঙ্ক’ (INSYNC) দুমাসে দুটো গান এসেছে তার। ভিডিয়ো প্রোডাকশন করেছে...
অস্মিতা করঃ ‘ইনসিঙ্ক’-এর জার্নি একদম যে নতুন-এমনটা নয়। মানুশের কাছে যদিও নতুন। ‘ইনসিঙ্ক’-এর কাজ এক দেড় বছর আগে থেকে আমার প্ল্যানিং-এ ছিল। সারেগামাপা-তে যাওয়ার আগে। এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে আমার গান শুনতে চাইছেন। সেই সূত্রেই ‘ইনসিঙ্ক’এর গান শোনাতে চাওয়া।
প্রঃ তোমার গামী পরিকল্পনা কী?
অস্মিতা করঃ আমার মাথায় তো সব সময়ই চলতে থাকে নেক্সট কী করব। ধীরে ধীরে সব এগোবে। ‘ইনসিঙ্ক’-এর গোল আমরা একটা ফিউশন মিউজিক তুলে ধরব। যা এই প্রজন্মের ভাল লাগবে। আমার গানের ব্যাকগ্রাউন্ড ক্ল্যাসিকাল। এই ব্যান্ডে আমরা চেষ্টা করি ক্ল্যাসিক্যাল আর নতুন এলিমেন্টস দিয়ে নতুন প্রজন্মের মতো করে ট্র্যাডিশনায়াল ক্ল্যাসিক্যালকে তুলে ধরা। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।