ছোটদের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে বাংলা ছবি 'কলকাতার হ্যারি'। অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রথম প্রযোজিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজদীপ ঘোষ। এই ছবিতে হ্যারি হলেন হরিনাথ। হরিনাথের ভূমিকায় দেখা যাবে সোহমকে। বিপরীতে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। তবে ছবির সবচেয়ে বড় চমক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আগামী ৬ মে মুক্তি পাবে এই ছবি। তার আগে জিয়ো বাংলার পর্দায় আড্ডা দিতে এসে এই ছবি সম্পর্কে জানিয়েছেন অভিনেতা সোহম, ছবির পরিচালক ও অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার।
প্র: 'কলকাতার হ্যারি' মুক্তি পাওয়ার আগে কতটা নার্ভাস তোমরা?
সোহম: বুকটা চিন চিন করেই যাচ্ছে আমার মনে হয়ে ৬ মে ছবি মুক্তির পরেই এই চিনচিনে ভাবটা কমবে। কিন্তু ডেফিনেটলি কোথাও একটি আত্মবিশ্বাস রয়েছে। কারণ পরীক্ষা তো ভালো দিয়েছি। বহুদিন পর মানুষ নতুন একটা অধ্যায় দেখতে পাবে। যেখানে সবাই তাদের ছোটবেলার কথা মনে করতে পারবে।
প্রিয়াঙ্কা : ছবি রিলিজের আগে নার্ভাসনেস তো থাকবেই। তবে কনফিডেন্সটাও রয়েছে। কারণ ছবিটাতে কাজ করে আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। আমরা নিশ্চিত দর্শকরাও একটা ভালো এক্সপিরিয়েন্স পাবে এই ছবি দেখে।
প্র: সোহম থেকে 'কলকাতার হ্যারি' কীভাবে হয়ে উঠলে?
সোহম: রাজদীপ ঘোষ, রোহিত ও সৌম্য। এই কয়েক বছরে আমরা অনেক নেগেটিভিটি দেখেছি। তাই সেই নেগিটিভিটি থেকে বেরিয়ে আমরা কতটা পজেটিভিটি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি অভিনেতা হিসেবে আমার ১০০ পার্সেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ক্রেডিট গোজ টু পরিচালক রাজদীপ ঘোষ অ্যান্ড সৌম্য। আশা করছি সবার ভালোই লাগবে।
প্র: শিশুদের নিয়ে তো বাংলা ছবি কম হয়। কিন্তু এই ছবিতে শিশুরা রয়েছেন তাছাড়াও আর কী কী যাদু থাকছে এই ছবিতে?
রাজদীপ: এটা পুরোটাই একটা জাদুর গল্প। আমরা যে সব ম্যাজিক দেখেছি তার সম্পর্কে তো আমরা জানি। কিন্তু মনের ম্যাজিক যার মাধ্যমে একজন মানুষের সঙ্গে অন্যজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে তৈরি হয় ও ছোটদের বড় হয়ে ওঠার গল্পকেই আমরা এই ছবিতে দেখাতে চেয়েছি।
প্র: প্রিয়াঙ্কাদি, এই জাদুর দুনিয়ায় তোমার কী চরিত্র?
প্রিয়াঙ্কা: এই ছবিতে আমি একজন দিদির চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার বোন হরিনাথের বাসে করে যায়। আমার চরিত্রের নাম মোহর। এই ছবিতে হরিনাথের সঙ্গে মোহরের বোনের খুব সুন্দর বন্ধুত্ব সম্পর্ক তৈরি হয়। এছাড়া মোহরকেও হরিনাথের ম্যাজিক আবার ছোটবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়। আশা করছি দর্শকদের এই চরিত্রটি খুব ভাল লাগবে।
প্র: সোহমদা স্কুল বাস নিয়ে তোমার ছোটবেলার স্মৃতি রয়েছে কী?
সোহম: অনেক কথাই মনে পড়ে। যেমন- ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা। স্কুলে বাসের স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে গাড়ি চালানো। এই সব ঘটনাই এখন মনে পড়ে।
প্র: সোহমদা অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবিটির প্রযোজনাও তুমি করেছ। দায়িত্বটা কী একটু বেশি?
সোহম: হ্যাঁ, প্রচন্ড বেশি। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই আমার টিমকে এই বিষয়ে আমাকে সাপোর্ট করার জন্যে।
প্র: শুনলাম এই ছবিতে প্লেব্যাক করেছ তুমি। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সোহম: আমাদের বিভিন্ন শোতে গান গাইতে হয়। তবে জিৎ আমাকে আগেও বলেছিল যে, আমাকে দিয়ে একটা গাওয়াবে। কিন্তু সুযোগ যে এত তাড়াতাড়ি আসবে তা ভাবতে পারিনি। তবে আমি ছাড়াও নিকিতা গান্ধী, ঊষাদি, রূপঙ্কর দা'র মতো লেজেন্ডরা গান গেয়েছেন এই ছবিতে।
প্র: তোমাদের দুজনের বাড়িতে খুদে অতিথি রয়েছে। তারা কতটা উৎসাহী এই ছবি নিয়ে?
প্রিয়াঙ্কা: সহজ খুব এক্সাইটেড! ও গল্পটা খানিটা জানে। ৬ মে দু’জন মিলে বড় পর্দায় দেখতে যাব এই ছবিটি।
সোহম: ওরা ছবির ট্রেলারটা দেখেছে। ইচ্ছা আছে ওদের সঙ্গেই ছবিটা দেখতে আসব।
প্র: প্রযোজনার চাপ থাকার পাশাপাশি বুম্বাদার হাত রয়েছে তোমার মাথার উপর। এই নিয়ে কী বলবে তুমি?
সোহম: আমি খুব খুশি ওঁকে এই ছবিতে পেয়ে। উনি ছাড়া এই রোল কাউকে মানাত না।
প্র: এই ছবি নিয়ে দর্শকদের কী বলবে তোমরা?
প্রিয়াঙ্কা: আমাদের কাছে আসল ম্যাজিশিয়ান আপনারাই। এবারও আপনাদের সেই ম্যাজিকটা আমরা দেখতে চাই। আপনারা প্রত্যেকেই থিয়েটারে এসে আমাদের এই প্রয়াসটাকে সার্থক করে তুলুন।
সোহম: জিয়ো বাংলার প্রত্যেকেই বলব যারা ছবি দেখতে আসবেন তারা প্রত্যেকেই বলবেন "জিয়ো কলকাতার হ্যারি"।
রাজদীপ: আপনাদের জন্যেই এই প্রসাদ তৈরি। আপনাদের ভালো লাগলেই আমাদের ভালো লাগবে।