Jiyo Adda- 'জিয়ো আড্ডা উইথ অনিন্দিতা সরকার' শোয়ে আজ অতিথি টিম ‘আবার বিবাহ অভিযান’ অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রিয়াঙ্কা সরকার(Anirban Bhattacharya, Priyanka Sarkar)। আবার বিবাহ অভিযানে গিয়ে কী কী কান্ড ঘটিয়েছিলেন তাঁরা শুনুন সেই গপ্পো
প্রঃ অনির্বাণ, এই যে তোমার একটা অন্যরকমভাবে কথা বলা, এটা তোমার সৃষ্টি, নাকি ইনপুট দেওয়া হয়েছিল?
অনির্বাণঃ চরিত্রটা গ্রামের মানুষ, বীরপুরের লোক, মালতীও সেখানকার, তো বীরপুর তো ফিকশনাল জায়গা, আমি মেদিনীপুর, যেখান থেকে এসেছি সেখানার কথার যে টান আছে আমি সেটাই করেছিলাম। প্রথমবার ছবিটা যখন হয় তখন করে দেখা গিয়েছিল প্রথম পার্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিল রুদ্রদা, পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত তাঁদের দুজনের ভালোলাগে। তারপর থেকে ওটাই আমি কন্টিনিউ করেছি। এই ছবিতেও সেটা চলেছে।
প্রঃ প্রিয়াঙ্কা, মালতীর মতো চরিত্র বোধহয় তুমি আগে করনি?
প্রিয়াঙ্কাঃ একেবারেই নতুন একটা চরিত্র ছিল আমার কাছে, এবং খুব মজা লেগেছে। প্রথম বিবাহ অভিযান যখন হয় তখন সবাই ভীষণ গাইড করে চরিত্রটা তৈরী হয়। এইবার ‘আবার বিবাহ অভিযান’এ সেই অভিজ্ঞতা রিরিড করার একটা সুযোগ পেয়েছি।
প্রঃ অনির্বাণ, তুমি তো সিনেমার পাশাপাশি সিরিজ করছ, ধরো যারা অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে চাইছে, অনেকেই একই ধরনের চরিত্র করে যান, এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে আসতে সমস্যা হয়, তাদের কী বলবে?
অনির্বাণঃ না, এটা সব সময় যে তাঁরা করেন এমন নয়, তাদের দিয়ে করানো হয়। একজন অভিনেতাকে যদি বারবার একই ধরনের চরিত্রে কাস্ট করা হয়, আর তিনি সেটাই করতে থাকেন তাহলে টাইপ কাস্ট হয়ে যাওয়ার একটা চান্স থাকে। আমার ক্ষেত্রে আমার কেরিয়ারের গোড়ার দিক থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রই পেয়েছি। সেই দিক থেকে আমি ভাগ্যবান। সবার ক্ষেত্রে এই সুবিধাটা নাও থাকতে পারে। সেটা নিজেদের চয়েসের একটা ব্যাপার আসে। তবে বাংলা ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে নতুনদের কাছে চয়েসের অপশন বিশেষ থাকে না।
প্রঃ তোমরা তো কাজ করতে গিয়ে অনেক মজার মুহূর্ত তৈরী হয়, এমন কিছু আছে, যেটা শেয়ার করতে পারে।
প্রিয়াঙ্কাঃ এই ছবিতে আমরা বিদেশে আউটডোর শ্যুট করেছি, এতজন বিদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিয়ে শ্যুটিং, ডে লাইটে শ্যুট হবে। গরমের জায়গা সেই সব মিলিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে হাসি ঠাট্টা করে কাজ করতে ভালোবাসে এরকম একটা টিম থাকলে মজা হয়ই।