বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় চিকিৎসা কী?

বন্ধ্যাত্ব এক সময় বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির হাত ধরে বদলে গিয়েছে সেই ছবি। এখন খুব সহজেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সময় থাকতে সঠিক নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। কিন্তু এই সমস্যা কী কী কারণে দেখা দেয়?

এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ রিয়া মন্ডল।

চিকিৎসক ডাঃ রিয়া মন্ডল জানিয়েছেন, পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা থাকলে ইনফার্টিলিটি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হরমোন জনিত কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা দেখা দিতে পারে কী না? যেমন- মুখের মধ্যে প্রচুর অ্যাকনে দেখা দেবে ও মুখের বিভিন্ন অংশে লোম দেখা দিতে পারে।

মহিলা ও পুরুষ উভয়েরই ইনফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই বেশি এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিলে তাঁরা চিকিৎসা না করে, এড়িয়ে যান। বর্তমান সময় ইনফার্টিলিটির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। তবে মোটামুটি এক থেকে দু'বছর স্বামী-স্ত্রীর চেষ্টা করতে হবে। তবে যাদের বয়স ৩৪ বেশি। তাদের ৬ মাসের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। বর্তমান সময় সব জায়গায় আই.পি.এফ ক্লিনিক চালু হয়েছে। কিন্তু আগেই আই.পি.এফ ক্লিনিকে যাওয়া উচিত নয়। আগে জেনে নিতে হবে এই সমস্যা আমাদের আছে কী না? তার জন্যে ব্লাড টেস্ট ও ইউএসজি করে নিতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ওভুলেশন না হওয়ার ফলেই ইনফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই ওভুলেশনের ৯০ শতাংশ কারণ হল পলিসিস্টিক ওভারি। বিশেষত ফাস্ট ফুড খাওয়া ও লাইফস্টাইল পরিবর্তনের ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা থাকলে সঠিক সময় হরমোন নিঃসরণ হয় না। যার ফলে ইনফার্টিলিটি দেখা যায়। এই জন্য ইউএসজি করে দেখে নিতে হবে কখন পলিসিস্টিক ওভারি আছে কী না। এছাড়াও এইচ এস জি, ল্যাপারোস্কপি মাধ্যমেও আমরা দেখে নিতে পারি ইনফার্টিলিটি সমস্যার কারণ কী? কিছু ওষুধ রয়েছে যা ব্যবহার করলে ইনফার্টিলিটি সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। অনেক সময় বডি ওয়েট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও ওভুলেশনের সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব।

ইনফার্টিলিটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন যারা তাদের কাছে আইভিএফ হল এমন একটি পদ্ধতি যেটার ব্যবহারে সহজেই সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও সারোগেসি পদ্ধতি রয়েছে। তবে ন্যাচরাল পদ্ধতির মাধ্যমেই করা যার। তার জন্য চাপ কমাতে হবে। যাদের  পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা যাদের আছে তারা যোগা করতে পারেন। কিন্তু চিন্তার করবার কোনও কারণ নেই যেহেতু আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই সমস্যার সমাধান রয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...