টানা লকডাউনের ফলে অবসাদে ভুগছে শিশুরা

গত প্রায় দু’বছর বাড়িবন্দী। অতিমারীর ভয়ে সীমাবদ্ধ হয়েছে চলাচল। তাতে শরীর মন দুই নাজেহাল। এক রোগ থেকে বাঁচতে গিয়ে অভ্যাসের বদল ঘটায় শরীরে এসেছে অন্য রোগ। বিশেষ করে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে এই সময়। বিশেষ করে টানা বাড়ি বসে থাকার ফলেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে শিশুদের। এছাড়া ‌করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন বহু শিশু কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে শারীরিক দিক থেকেও দূর্বল হয়ে পড়েছে বহু শিশু। লকডাউনে একভাবে মোবাইলে অনলাইন ক্লাস করার ফলে পড়াশোনার করার ইচ্ছাও চলে গিয়েছে শিশুদের। শিশুদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে কেন?

শিশুদের এই সমস্যাগুলি সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুমিতা সাহা

ডা: সুমিতা সাহার মতে, ঘরবন্দি থাকার ফলে বাচ্চাদের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। যারা একটু বয়সে বড় তারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন আর যারা বয়সে ছোট তারা সারা দিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে শেখার ইচ্ছা হারিয়েছে। এই জন্যেই এখন দেখা যায় অনেক শিশু বয়স বাড়ার পরেও কথা বলা শিখতে পারেনি। তাছাড়াও বেড়েছে চোখের সমস্যা। সারা দিন মোবাইল নিয়ে বসে থাকার ফলেই বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। সংক্রমণ এড়াতে শিশুরা বাড়ির বাইরে খেলাধূলা করতেও যেতে পারেনি তাই ওজন বেড়েছে খুব দ্রুত গতিতে। যার ফলে নানান রোগ বাসা বেঁধেছে তাদের শরীরে।

শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত রোগে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না আসার কারণেই এই সকল রোগ বাসা বাঁধছে শিশুদের মধ্যে। সূর্যের আলোর অভাবে শরীরে ভিটামিন-ডি কমে গিয়েছে এর ফলেই শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস খুব সহজে প্রবেশ করছি। তবে ডাঃ সুস্মিতা সাহা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এখনও খুব কম শিশুদের। কিন্তু তাও করোনা বিধি মেনে চলতে হবে তাদের।

ডাঃ সুমিতা সাহা বলেছেন, যদি বাড়িতে কেউ করোনা আক্রান্ত হন তাহলে বাচ্চাকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে রাখতে হবে। তবে শিশুদের মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...