ছোটদের ডিপ্রেশন কীভাবে চিনবেন? সন্তানের কোন আচরণ দেখে সচেতন হবেন? শিশুদের মধ্যে অবসাদ বাড়ছে কেন? কীভাবে আগাম সর্তক হবেন? পরামর্শ দিলেন নিউরোসাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ অঙ্কিত হালদার (Dr Ankit Halder, Neuropsychiatrist)
ডাঃ অঙ্কিত হালদার জানিয়েছেন, বাচ্চাদের অবসাদের বহিঃপ্রকাশ প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় একেবারেই আলাদা। বড়দের ক্ষেত্রে আমরা দেখি অবসাদ আক্রান্ত ব্যক্তির আগে হয়ত যে বিষয় ভাল লাগত অবসাদের দরুন এখন সেই বিষয়েই আগ্রহ হারিয়ে গিয়েছে। মন মেজাজ ভাল নেই, কিছু ভাল লাগে না। সব কিছুতেই উদাসীন। শিশুদের ক্ষেত্রে কিন্তু এরকমটা ঘটে না। তাদের লক্ষণও আলাদা। অল্পেই রেগে যাওয়া, মারামারি, কথা না শোনা, তর্ক করা বা মুখে মুখে জবাব দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মুডের বদলে এগ্রেসিভ আচরণ অনেক বেশি দেখা যায়।
বাড়িতে তো বটেই স্কুল এবং অন্যত্র বন্ধু, সঙ্গীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা দেখা যায়। এই সমস্তই শিশুদের অবসাদের লক্ষণ।
শিশুর মোবাইল ব্যবহারকে অবসাদের কারণ হিসেবে মনে করলেও মোবাইল সত্যিই কতটা দায়ী সে বিষয়ে ধন্দ আছে। মোবাইলের জন্যই ডিপ্রেশন হচ্ছে নাকি বাচ্চা ডিপ্রেশনে গিয়ে মোবাইল হাতে নিচ্ছে সেই নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় অভিভাবকরা শিশুকে মোবাইলে অভ্যস্ত করে তুললে তার প্রভাব পড়বেই। শিশুর স্ক্রিনটাইম যদি বেশি হয় তাহলে তা শিশুর মনে তার একটা ছাপ পড়ে।
যতদিন না স্কুলে যাচ্ছে, সকলের সঙ্গে মিশছে ততক্ষণ অবসাদের লক্ষণ বোঝা যায় না। মুডসুইং বারবার হতে থাকলে তা দুশ্চিন্তার কারণ। শিশু অস্থির স্বভাব কিন্তু সেটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে।