শিশুর ঘুমের সমস্যায় অভিভাবকদের করণীয় কী?

শিশুর কেন ঘুমের সমস্যা হয়? শিশুর ঘুমের সমস্যায় অভিভাবকদের করণীয় কী? শিশুর রাতে ঘুমোনোর অভ্যাস তৈরি করবেন কী করে? পরামর্শ দিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায় (Dr Kaustav Banerjee, Pediatrician)

ডাঃ কৌস্তভ বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুদের ভাল ঘুমের অভ্যাস প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ঘুমের সময় মেনে চলা শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, সকলের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এক এক শিশুর ঘুমের সময় এক এক রকম হয়। একটি শিশু সাধারণত ১৪-১৫ ঘন্টা ঘুমায়। শিশুর যত বয়স বাড়ে তত ঘুমের সময় কমতে থাকে। সেই ঘুমও সাধারণত ৮-৯ ঘন্টা হয়ে থাকে। শিশুর শারীরিক ও বৌদ্ধক বৃদ্ধি বিকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে ঘুম।

সদ্যজাত শিশুর ক্ষেত্রে সে তার রুটিন নিজেই তৈরি করে নেয়। মোটামুটি প্রথম ৩ মাসের ক্ষেত্রে শিশু রাত্রিবেলাতেই সাধারণত জেগে থাকে। স্কুল যাচ্ছে এমন শিশু দশটা থেকে সাড়ে দশটায় ঘুমিয়ে পড়া উচিত। ঘুমের আগে টিভি দেখা, মোবাইল দেখে ঘুমানোর অভ্যাস বন্ধ করতে হবে।

ঘুমের ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস বড় দিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশু খেতে চায় না, সে যতটুকু খেলো তাতেই ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হল। তাতে অনেক সময় দেখা যায় শিশু রাতে বারবার ঘুম থেকে উঠে পড়ছে। পেট ভর্তি না থাকলে এটা ঘটে। তাই সারাদিনই শিশুদের নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা উচিত। শিশুর ঘুম এবং সার্বিক বিকাশ উভয় দিক থেকেই এটি ভাল।

ঘুমাতে না চাওয়া, সঠিক ঘুম না হওয়া এই সব কিছুর একটা বড় কারণ মোবাইল। যত রেডিয়েশনের সঙ্গে সময় কাটাবে বেশি তত ঘুমে প্রভাব পড়বে। ওজন, খাদ্যভ্যাস এই সব কিছুই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়। কমিউনিকেশন স্কিল দুর্বল হয়ে যায়, দেখা যায় শিশু দেরী করে কথা বলতে শিখছে। শিশুরা বাড়িতে কথা বলা শিখছে না বাবা মা তাদের মোবাইলে ব্যস্ত রাখছে বলে। যতক্ষণ না শিশুকে নির্দেশ দেওয়া, শিশুর সঙ্গে অনবরত কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলছেন ততক্ষণ এই সমস্যা থেকে যাবে।

শিশুর সঠিক ঘুম ও জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তুলতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেডের ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলতে হবে। সময় মতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে। শিশুর পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীর চর্চায় নজর দিতে হবে।

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আট থেকে আশির জন্য মোবাইলের এই নিয়ম প্রযোজ্য।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...