ত্বকে কেন হয় কালো দাগ-ছোপ?

ত্বকে কেন হয় কালো দাগ-ছোপ? ডার্ক স্পট আর পিগমেন্টশন (Dark Spots Pigmentation) সারাতে কেমন হওয়া উচিত ডে-টু-নাইট স্কিন কেয়ার রুটিন (Skin Care Routine) টিপস দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কসমেটোলজিস্ট ও অ্যাস্থেটিক কনসালট্যান্ট সায়ন্তন দাস (Sayantan Das, Cosmetologists & Aesthetic Consultant)

ডার্ক স্পট দূর হবে কী করে?

সায়ন্তন বলছেন, অনেক কারণে ডার্ক স্পট হয়। কিন্তু প্রথম এবং প্রধান কারণ শরীরের আভ্যান্তরীন স্বাস্থ্য। লিভারের সমস্যা, হরমোনের ভরসাম্যর অভাব, অ্যাকনে, অন্য কোনও আঘাত, সান ট্যান একাধিক কারণ। সান ট্যান দীর্ঘ দিন ধরে হতে হতে কালো দাগে বদলে যায়। লাইফস্টাইলও প্রভাব ফেলে ত্বকে। চড়া মেকআপের পর সেটা যদি ভালভাবে পরিষ্কার না করা হয় তাহলে ত্বকে থাকতে থাকতে ডার্ক স্পট আসে।

কসমেটোলজি থেরাপিতে কি পুরোপুরি ডার্ক স্পট সারানো হয়? শরীরের ভিতরে একাধিক গোলযোগের কারণে ডার্ক স্পট আসে। পোস্ট প্রেগনেন্সি ডার্ক স্পট, হরমোনের কারণের কারণে কালো দাগ হলে আগে তার চিকিৎসা হয়। তারপর শুরু হয় কসমেটোলজি ট্রিটমেন্ট। এই ট্রিটমেন্ট কোনও বিউটিপার্লারে এসে ফেসিয়াল করার মতো ব্যাপার নয়। ত্বকের গভীরে গিয়ে বিভিন্ন মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটাই নন সার্জিক্যাল। সুতরাং এই ধরনের কাজগুলোর ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নিরাময় সম্ভব। সেক্ষেত্রে ট্রিটমেন্ট প্রসেসের মধ্যে থাকতে হবে, মেডিকেশন এবং হোম রিমেডির মধ্যে থাকতে হবে।

বহু মানুষের প্রশ্ন থাকে তারা 'ফর্সা' হবে কী করে। অনেকদিন পর্যন্ত এই ধারণা ছিল যে ফর্সা হওয়া যায় না। কিন্তু ফর্সা হওয়া যায়। মাইকেল জ্যাকসন, বলিউডের কাজল অনেককেই মানুষ দেখেছে। মেলানিন ঠিক করে দেয় কে কতটা ফর্সা হবে। কিন্তু কিছু ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে মেলানিন মাত্রা কমিয়ে গায়ের রঙে বদল আনা যায়। ২-৩ টোন ফেয়ার হতে পারে। রোদের কারণে গায়ের রঙ বদলে যায়। সেই ট্যান কাটিয়ে আসল রঙ ফিরিয়ে আনা যায়। কসমেটোলজিতে তার ভাল উপায় রয়েছে।

প্রথমেই বুঝতে হবে ত্বকের অ্যানাটমি। ত্বক কী চায়। দূষণের মাত্রা বাড়ার কারণে ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন। সিটিএম ছাড়াও তার চাই আরও কিছু। সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে ভাল করে ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। তারপর টোনার মেখে একটা সানস্ক্রিন। এটা প্রতিদিন ব্রাশ করার মতোই অভ্যাস। সানস্ক্রিন না লাগালে সারাদিনের যা ট্রিটমেন্ট সবটাই মাটি। কারণ এটাই একমাত্র রক্ষা করবে ত্বককে দূষণের হাত থেকে। রাতে মুখ পরিষ্কার করার পর মুখে সিরাম লাগাতে হবে। তারপর ময়েশ্চারাইজার। সব ধরনের ত্বকের জন্য এটা দরকার। অয়েলি স্কিনের জন্য ওয়াটার বেসড আর ড্রাই স্কিনের জন্য অয়েল বেসড।

চুলের সমস্যায় প্রায় সবাইকে কম বেশি ভুগতে হয়। মানুষ তাই ঝুঁকছে

হেয়ার প্ল্যানটেশনের দিকে। কিন্তু তার আগেই যদি চর্চার ধরণ বদলে ফেলা যায় তাহলে এই সমস্যাও সহজে রাশ টানা সম্ভব। যেভাবে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হয় সেভাবে শ্যাম্পুও প্রয়োজন। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এতে অন্তত ৫০ শতাংশ সমস্যা সমাধান সম্ভব। প্রতিদিন কোনও লোশন বা ভাররটিলাইজার ব্যবহার করতে হবে। চুলের গোড়ার যত্ন করতে হবে।

হেয়ার ট্র্যান্সপ্লান্ট করলে তা ঠিক ভাবে পরিচর্যার একটা ব্যাপার থাকে। সেটাও বেশ ব্যয় সাপেক্ষ।

কসমেটলজিতে অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে।

সব সমস্যার ঘরোয়া উপায়ে সমাধান সম্ভব। ডার্ক স্পট সারাতে বিভিন্ন ধরনের বেরি ব্যবহার করা যেতে পারে। দই এর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। মুখে লাগাতে পারে। এছাড়া অ্যালোভেরা, মলটা, দই মধু, পাকা পেঁপে উপকারী। যদিও সময় সাপেক্ষ। ত্বকের স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল করতে PH ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে। তাই ক্লেনজিং আর হাইড্রেশনে জোর দিতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...