অসহ্য যন্ত্রণা, অনিয়ন্ত্রিত ব্যথা জড়িয়ে আছে ক্যানসার রোগটির সঙ্গে। কোন স্টেজ থেকে অনুভূত হয়? ক্যানসারের রোগ যন্ত্রণা, ক্রনিক পেইন কমানোর উপায় বা চিকিৎসা কী? ক্যানসারের যন্ত্রণায় পেইন ম্যানেজমেন্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যথা নিরাময়ে কীভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ দেবদীপ্ত দাস (Dr. Debdipta Das, MBBS, MD (Anesthesia & Pain)
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে ক্যানসার সচেতনতা দিবস। কিন্তু মানুষের মধ্যে ক্যানসার মানে আজও 'ভয়'।
ক্যানসার এক মারাত্মক রোগ। এমন একটা ভয় যার নাম শুনলেই মনে হয় ফুরিয়ে এল আয়ু। আজও এই রোগ সম্পর্কে মানুষের প্রাথমিক ধারণা এটাই। কিন্তু বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ দেবদীপ্ত দাস জানিয়েছেন এমন ক্যানসার চিকিৎসা নানা আধুনিক পদ্ধতি এসেছে যার দ্বারা এই রোগ নিরাময় সম্ভব। তাই ভয়ের বদলে রোগ সচেতনতা জরুরি।
ক্যানসার দুটি পর্যায়ে থাকে। আর্লি স্টেজ অব ক্যানসারে এটি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল সম্ভব। যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা শুরু হলে আয়ু কমার প্রশ্নই নেই। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যানসারের লক্ষণ চিনে চিকিৎসা শুরু করার কাজটিও বেশ চ্যালেঞ্জ-এর।
সাধারণ কিছু কিছু উপসর্গ আছে যা পরে ক্যানসারের চেহারা নেয়। রোগী এবং রোগীর বাড়ির লোক এবং সমাজকে সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে একাধিক সরকারি সচেতনতা কর্মসূচি আছে। যেমন প্যাপ্সমিয়ারের সাহায্যে জরায়ু মুখ ক্যানসার চিহ্নিত করা সম্ভব।
ক্যানসারের বিশেষ দিক ক্যানসার পেইন। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগে ব্যথা যন্ত্রণা হয় না। শেষ পর্যায়ে হয় ব্যথা ভোগ। কিন্তু কোনও চিকিৎসাতে এর তাৎক্ষণিক বা রাতারাতি নিরাময় সম্ভব নয়। রোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবেও কাবু করে। ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে যন্ত্রণা বাড়ে। ছোট থেকে বড় সব ধরনের ক্যানসারের পরের দিকে ব্যথা হয়। তার একাধিক চিকিৎসা আছে। যন্ত্রণা দুই রকম। একটি শারীরিক একটি মানসিক। ব্যথা কতটা অনুভব করছে তার ওপর চিকিৎসা চলে। মরফিন ব্যবহার করা হয়। যা প্রেসক্রিপশন ছাড়া কখনই মেলে না। এছাড়াও একাধিক উপায় আছে। সাইকোলজিক্যাল পেইন, স্পিরিচুয়াল পেইন ও সোশ্যাল পেইনও আছে। আত্মহত্যার প্রবণতা আসে। এই ব্যথা কমাতে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ হয়ে থাকে। বাড়ির লোকের কাউন্সেলিং করা হয়। এই সব দিক ভালভাবে রক্ষা করা হলেই ক্যানসার সঠিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সাপোর্ট দরকার।