আপনি কি ভার্টিগো আর ডিজিনেসের সমস্যায় নাজেহাল? কীভাবে সামলাবেন সমস্যা, পরামর্শ দিলেন ইএনটি স্পেশ্যালিস্ট ডাঃ অভীক কুমার জানা।
ডাঃ অভীক কুমার জানা জানিয়েছেন, ভার্টিগো আর ডিজিনেস একেবারে আলাদা। কেউ যদি বলে ‘আমার চারপাশটা বনবন করে ঘুরছে, বা চারপাশটা ঘুরছে না আমি ঘুরতে থাকছি বনবন করে আর চারপাশটা স্থির হয়ে আছে-এটাকে বলা হয় ভার্টিগো।
ডিজিনেস-এ শরীরটা দুলছে বলে মনে হয়। অনেকটা নৌকায় বসে থাকার মতো অনুভূতি। শরীর যেন ডানদিকে-বামদিকে দুলছে। এই অনুভূতি হয় ডিজিনেসের সমস্যায়।
দুই সমস্যার লক্ষণ একেবারেই আলাদা। ভার্টিগোর সঙ্গে একাধিক অঙ্গ জড়িয়ে। প্রথমেই আসে কান। কানের মধ্যে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার অঙ্গটি থাকে। সেই অঙ্গে যদি কোনও কারণে সমস্যা তৈরি হয় তাহলে মনে হয় চারপাশটা ঘুরছে।
কানের নানারকম অসুখ হয় তার কারণেও ভার্টিগো হতে পারে। ব্রেন, চোখ থেকে ভার্টিগো হতে পারে। চোখের নির্দিষ্ট কিছু অসুখ আছে যার কারণে রোগীর এরকম সমস্যা হয়। ঘাড়ে স্পন্ডালাইটিস থেকে ভার্টিগো ডিজিনেস দুই হতে পারে।
এগুলো সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এছাড়া অনেক সময় হার্টও হতে পারে এই রোগের উৎস। হঠাৎ চোখে ব্ল্যাকআউট, ভূমিকম্পের অনুভূতি হলে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নিতে বলা হয়। স্পন্ডালাইটিস থেকে ডিজিনেসের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
হাঁটাচলায় অস্বস্তি, পা ঠিকমতো পড়ছে না, অন্যদিকে পা চলে যাচ্ছে, মাথা টমমল করছে, কইয়েক মুহূর্তের জন্য চেয়ার-টেবিল-বাড়িঘর সব দুলছে, লেখা-সইয়ের মতো সূক্ষ কাজ করতে না পারা-এগুলোই ভার্টিগোর প্রাথমিক লক্ষণ।
ভার্টিগো-ডিজিনেসে যে কোনও বয়সে হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চল্লিশের পর। কারুর যদি ডিপ্রেশন বা অবসাদ থাকে তাহলে ভার্টিগো সারানো কঠিন হ য়ে পড়ে, অবসাদে ভোগা মানুষ মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু এই রোগ থেকে সেরে উঠতে মনের জোর খুব জরুরী। ভার্টিগোর চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ, রোগীকে মনের জোর রাখতে হবে যে-‘আমি সেরে উঠব’। তবে ভার্টিগো থেকে ডিপ্রেশন হয় না।
ভার্টিগো আর ডিজিনেসে মেডিকেল ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত ব্যায়াম। রোগীকে ব্যায়াম করতে দেওয়া হয় সেটাই আসল চিকিৎসা নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে ধী ধীরে সেরে উঠবে রোগী।