যোগব্যায়াম না জিম, ওয়েট লস ও বডি টোনিং জার্নিতে কোনটা বেশি সাহায্য করে?

যোগব্যায়াম না জিম, ওয়েট লস ও বডি টোনিং জার্নিতে কোনটা বেশি সাহায্য করে? আন্তর্জাতিক যোগদিবসের (International Day of Yoga)

বিশেষ পর্বে সহজ উপায় জানালেন যোগাচার্য্য, সাউন্ড হিলার, লাইফস্টাইল কোচ হর্ষা বানথিয়া  (Harsha Banthia, Yoga Acharya, Sound healer & lifestyle coach)

হর্ষা জানিয়েছেন, যোগব্যায়ামে ওজন কমবেই। কিন্তু তা নির্ভর করছে জীবন যাত্রার ওপর। যোগব্যায়াম ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিপাক তন্ত্র, শরীরের ভিতর ও বাহিরকে সুস্থ রাখে। বয়সের ছাপ রোধ করে। জিম করলে চটজলদি মাসল ডেভলপমেন্ট হয়, কিন্তু জিমের অভ্যাস ছেড়ে দিলে ওজন ফের বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যোগব্যায়াম ধীরে ধীরে ওজন কমায়। কিন্তু অনেক বেশি কার্যকর। তাতে শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়। মেটাবেলিজম রেট বাড়ার কারণে বিরিয়ানির মতো খাবার খেয়েও ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। তবে সেই খাবার হবে পরিমিত। বেশি বা কম নয়।

যোগব্যায়ামের সঙ্গে প্রাণায়াম, ভ্রামরী, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই তাড়াতাড়ি রোগা হতে ম্যাগাজিন, ইন্টারনেট থেকে ইচ্ছে মতো ডায়েট প্ল্যান করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এতে উপকার তো হয় না বরং বিপদের আশঙ্কা বেশি। কম খাওয়া, না খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে।

যোগ মানে ধৈর্য। সহজেই ফল আসে না। তবে অভ্যাস চালিয়ে গেলে চমকে দেওয়া ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত ভাবে করলে কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগে।

রান্নাঘরের অনেক উপাদান যোগে কাজ দেয়। ডায়েটের নিত্য সঙ্গী। যেমন জিরের জল। জিরে ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে দিনে কয়েকবার খেলে ওজন কমে। শীতের মুখে আজোয়ান। ত্বক ও চুল ভাল করতে মেথির জল। অনেকে ওজন কমানোর ডায়েটে তেল ঘি বাদ দেন, কিন্তু যোগশাস্ত্র অনুযায়ী দুপুরের ডাল ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

দ্রুত ফলাফল পেতে ঠিকমতো যোগ ব্যায়াম করলে একমাসে ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমে। সকালে ২ ঘন্টা, বিকেলে ২ ঘন্টা আর সঙ্গে শঠ ক্রিয়া। ওজন কমানোর সঙ্গে মনের আনন্দ আর খুশি বজায় থাকে যোগ অভ্যাসে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...