দুর্ঘটনা, মৃত্যু, সম্পর্কে ভাঙন, নির্যাতন বা যে কোনও মানসিক আঘাত, যে ঘটনার জেরে মানুষ ভয় পায়। আতঙ্ক থাকে সারক্ষণ। এমন সব আঘাতের জেরে অনেকেই আচ্ছন্ন হয় ট্রমায়। কোন বিশেষ ঘটনার উপর আমাদের ইমোশনাল রেসপন্স হচ্ছে ট্রমা। এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় যারা ট্রমার শিকার হয়ে জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। তবে ঘটনা সম্পূর্ণ ভোলা সম্ভব না হলেও তার ট্রমা কাটানো সম্ভব। কিন্তু কীভাবে ট্রমা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন? টিপস দিলেন স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট, মাউন্টেনার শুভজিৎ মিত্র।
স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট, মাউন্টেনার শুভজিৎ মিত্র (Subhojit Mitra, Sports Nutritionist, Men's Physique Athlete, Mountaineer) বলেছেন, মেন্টাল ট্রমা সারা জীবন থেকে যায়। এই ট্রমা থেকে বেরবার জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করতে হবে। এছাড়াও এই ট্রমা থেকে বেরোনোর জন্য একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে হবে। ট্রমা কাটানোর জন্য নিজেকে জানতে হবে। বুঝতে হবে যা হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। ট্রমা কাটানোর সময় সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে উঠবে মা-বাবা। তাই এই সময় শুধু মাত্র মা-বাবার কথা মতোই চলতে ইচ্ছা করে। ওজন কমানোর সময় ট্রমা একটা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। মানুষের জীবনে বাধা আসাটা স্বাভাবিক কিন্তু বাধা থেমে গেলে চলবে না। বরং সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনেক সময় শিশুরাও ট্রমার শিকার হয়ে থাকে। এই সময় তাদের কাউন্সেলিং-এর দরকার রয়েছে। কিন্তু মা-বাবাকেই কাউন্সেলিং-এর কাজটা করতে হবে। বাবা-মাকে নিজের সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। আর শিশুদের যে কোনও সমস্যা হলে তার সেটা অবশ্যই মা-বাবাকে জানাতে হবে। তাহলে হয়তো মা-বাবা সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে সাহায্য করতে পারে।
ট্রমায় কাটিয়ে দেহের ওজন কমানো সত্যিই খুব কঠিন। কিন্তু মানুষ চেষ্টা করলে সব কাজ করতে পারবে। এই বিষয়ে স্পোর্টস নিউট্রিশনিস্ট, মাউন্টেনার শুভজিৎ মিত্র নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। একটি দুর্ঘটনায় নিজের প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ফুড ডিজওর্ডার হয়ে গিয়েছিল তাঁর। খাওয়াদাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ওজন বেড়ে গিয়েছিল তার। কিন্তু ট্রমা কাটিয়ে ওঠার পর আবার নিজের ওজন কমিয়েছেন তিনি। নিজেকে সুস্থ রাখা জন্য নিজের মধ্যে এই পরিবর্তন আনতে পেরেছিলেন তিনি। এই সময় তাঁর পাশে ছিলেন কোচ দিবাকর বসাক।
সুস্থ মন আর সুস্থ শরীরের জন্য এক্সারসাইজ বা দিনে এক এক-দুই কিলোমিটার হাটতে হবে। জাঙ্কফুড খাওয়া কমাতে হবে। আর সময় পেলে কিছুক্ষন গান শোনা যেতে পারে। তাহলে মন ভাল থাকবে।