ব্রণ আর অ্যাকনের সমস্যায় জেরবার! অ্যাকনে আর ব্রণর মধ্যে পার্থক্য কী? চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যে দূষণ কতটা প্রভাব ফেলে? চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাইফস্টাইলে কী ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরি। ব্রণ-অ্যাকনের উপদ্রব থেকে বাঁচবেন কীভাবে? পরামর্শ দিলেন ডার্মাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডাঃ সুদীপ সরকার (Dr Sudip Sarkar, Dermatologist & Cosmetologist)
ডাঃ সুদীপ সরকার জানিয়েছেন, ‘অ্যাকনে’ কথাটা মেডিকেল পরিভাষায় ব্যবহার করা হয়। আর ব্রণ হল চলিত কথা। সেই অর্থে আলাদা কোনও সংজ্ঞা নেই দুটোর। দুটোই এক।
ধূলো-বালি-ধোঁয়া, দূষণ চুল ও ত্বকে প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরতেই হয়। স্কিন কেয়ারের জন্য বেসিক যেটা জরুরি সেটা হল ফেসওয়াশ, ময়েশ্যাচারাইজার সানস্ক্রিন। এই তিন ধাপের ত্বক চর্চা সব সময় করা উচিত। তবে প্রোডাক্ট মেডিকেটেড হওয়া উচিত।
চুল অনেক কারণে ঝরে যায়। চুলের অবস্থা ভাল করার জন্য হেয়ার মাস্ক আর কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়। হেয়ার ব্যান্ড, হেয়ার ক্যাপও যে কেউ নিতে পারে। তার ফলে দূষনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা রোধ সম্ভব হবে।
যৌন জীবনের কারণে হরমোনে বদল ঘটলে মুখে ব্রণ অ্যাকনে হয় এরকম মিথও বহুল প্রচলিত। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তবে মহিলাদের মাসিক হওয়ার আগের ও পরের ৫ দিন মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে। মাথার খুশকি, তৈল গ্রন্থই থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের কারণেও এই সমস্যা হয়।
চুল পড়ার সঙ্গে মাথায় তেল দেওয়ার সম্পর্ক নেই। চুলে অয়েল ম্যাসাজ করলে রক্ত সংবহন ভাল হয়। এমনকি তেল মাখলে চুল ভাল থাকে এই ধারণাও কিছুটা মিথের মতো।মুখে ব্রণ থাকলে মেকআপ এড়িয়ে চলাই ভাল। যদি করতেই হয় অল্প সময়ের জন্য করা যায়। আর মেকআপ তুলতেও হবে সচেতন ভাবে।