রেডিয়েশন থেরাপির সময় কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?

ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম ভরসা রেডিয়েশন থেরাপি। এই বিশেষ পদ্ধতি খুব সহজেই ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে দিতে পারে। রেডিয়েশন থেরাপি দু প্রকার, যার মধ্যে একটি নাম এক্সটার্নাল বিম রেডিয়ো থেরাপি আর অন্যটি হল ব্রেকি রেডিয়ো থেরাপি। কিন্তু রেডিয়েশন থেরাপির আগে ও পরে মেনে চলতে বিশেষ কিছু নিয়মাবলী। এই নিয়মগুলি সম্পর্কে জানিয়েছেন অনকোলজিস্ট ডাঃ রিংতা মুখোপাধ্যায় (Ringta Mukherjee)।

অনকোলজিস্ট ডাঃ রিংতা মুখোপাধ্যায় (Ringta Mukherjee) জানিয়েছেন, রেডিয়েশন হল একধরনের হাই এনার্জি এক্স-রে। একটি বিশেষ ধরনের মেশিনে এই এনার্জি তৈরি হয়ে ও‌ আমাদের শরীরের যে অংশে ক্যান্সারের টিউমার রয়েছে সেই অংশটিকে ক্যান্সার মুক্ত করে। সাধারণত দুই ধরনের রেডিয়ো থেরাপি হয় যার মধ্যে একটি হল এক্সটার্নাল বিম রেডিয়ো থেরাপি আর অন্যটি হল ব্রেকি রেডিয়ো থেরাপি। রেডিয়েশনের সবচেয়ে বড় কাজ হল ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করা। তবে রেডিয়েশন থেরাপির ফলে ক্যান্সার সেলের পাশাপাশি নরম্যাল সেলগুলিও ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়। কিন্তু নরম্যাল সেলগুলি আবার নিজেকে রিপেয়ার করতে পারে যা ক্যান্সার সেলগুলি করতে পারে না। প্রায় সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যেই রেডিয়ো থেরাপি ব্যবহার করা হয়।

তবে রেডিয়েশন থেরাপির দেওয়ার আগে অন্য যদি কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে তার চিকিৎসা করে নেওয়াই উচিত। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে তা না বাড়া পর্যন্ত রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া উচিত নয়। রেডিয়েশন চলাকালীন রোগীর নিউট্রিশান ও হাইড্রেশানের উপর বিশেষ নজর দিতে হয়। এছাড়াও রেডিয়েশন থেরাপির পর ত্বকেরও যত্ন নিতে হবে।

কিন্তু রেডিয়েশন থেরাপির পর চুল পড়ে না। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন খুব শুধুমাত্র যেখানে রেডিয়েশন থেরাপির দরকার সেখানেই দেওয়া হয়। তাই সাইড এফেক্ট খুব বেশি দেখা যায় না। রেডিয়েশন থেরাপির ক্যান্সারের সব স্টেজেই দেওয়া হয়। তবে ক্যান্সার ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা উচিত। না হলে রোগ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। ক্যান্সার এড়িয়ে চলার জন্য তামাক জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে ও নিয়ম মেনেই জীবনযাপন করতে হবে। তবে যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই অনকোলজিস্টের কাছে পরামর্শ নিতে যাওয়া উচিত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...