ক্যারাটে এবং খেলাধূলা অনুশীলন করে তোলে ভিতর থেকে সুন্দর। কীভাবে তা সম্ভব, বিস্তারিত জানালেন শাক্কত্তি ফাউন্ডেশনের রায়েনা গুপ্তা (Ryena Gupta, Founder Shakktti Foundation)
যে কোনও খেলাধূলার একদম শুরুর জায়গা হল আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ম মেনে চলা। এই দুই জিনিস শেখায় জীবনে কীভাবে চলা উচিত। আমরা যখনই কোনও খেলার কথা বলি তখন তার সঙ্গে ডায়েট থেকে শুরু করে অনেকগুলো বিষয় জড়িয়ে থাকে। প্রতিদিনের জীবনচৰ্চা জড়িয়ে যায় অঙ্গাঙ্গীভাবে। খাওয়া ল, ঘুম, সারাদিনের কাজ কর্ম এমনকি অবসরও। একটা বিশেষ কোনও ক্রীড়ার মধ্যে থাকতে গেলে কীভাবে বাকি সমস্ত জিনিস ও জীবনচর্চার মধ্যে ভারসাম্য আসবে সেই খেয়াল রাখতে হয় প্রতিটা পদক্ষেপে। শুধু মাঠে নামলাম, খেললাম, হারলাম বা জিতলাম- এই দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। আজ নিয়েই নয় ভাবতেই হয় আগামী কালের কথা। ময়দানের জয়টা যেমন উন্মাদনা দেয় তেমনি তার উল্টো দিকটাও আছে। হার-ব্যর্থতা সামলাতে শিখতে হয়। ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চাই মানসিক জোর। প্রানিক হিলিং, নো ড্রাগ থেরাপি কাজ দেয় এসব ক্ষেত্রে। চোট, ব্যর্থটতায় মনের মধ্যে যে নেতিবাচক ভাবনা আসে তা ধুয়ে ফেলতে। মেডিটেশনও জরুরি। মার্শাল আর্ট, ক্যারাটেতে এমন অনেক পশচার থাকে যা আভ্যন্তরিন চক্রকে জাগিয়ে দেয়। মনে ইতিবাচক ভাবনার জন্ম দেয়।
যে কোনও ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত হলে এক সঙ্গে অনেকগুলো ফল মেলে। মার্শাল আর্ট বা ক্যারাটের ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে আত্ম রক্ষার দিকটি। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। নিয়মানুবর্তীতা, সময় সম্পর্কে সচেতনতা ও সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখায়।