এই সময় মহিলাদের মধ্যে পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি-এর সমস্যা বেশ চেনা। এই সমস্যা অনেক ছোট বয়স থেকে মহিলাদের মধ্যে দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া ফলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সময় মতো চিকিৎসা না করলে মহিলাদের সন্তান জন্মের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। কিন্তু ঠিক কী কারণে পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি-এর সমস্যা কেন দেখা দেয়? পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি-এর সমস্যার চিকিৎসা কী?
পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন ডাইটিশিয়ান ডাঃ রিঙ্কি বিশ্বাস সিং।
ডাইটিশিয়ান ডাঃ রিঙ্কি বিশ্বাস সিং বলেছেন, এখন ওভার ওয়েটজনিত সমস্যা দেখা গেছে যে মহিলাদের মধ্যে তারা অনেকেই পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি-এর সমস্যায় ভুগছেন। ওজন বেড়ে গেলে বা মাসিক জনিত কোন সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যান। তারপর আলট্রাসনোগ্ৰাফী করা হয় তখন দেখা যায় সিস্ট রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বে আগের লাইফস্টাইল মেনেই চলে বহু মহিলা। তারপর যখন এই সমস্যার ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় ও চুল উঠে যায়। তখন আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যান মহিলারা। তখন ডাক্তার তাদের ওজন কমাতে বলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।
এছাড়াও কম বয়সীদের মধ্যে ফ্যাট জাতীয় খাবারের চল খুব বেড়ে গিয়েছে। ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলেই ছোট বয়স থেকেই শরীরের ওজন বেড়ে যায়। যার ফলে ওবিসিটি, পি.সি.ও.এস ও পি.সি.ও.ডি-এর সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাবা,মা-এর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল ছোটবেলা থেকে শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো।
বয়স্ক মহিলাদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। যতটা সম্ভব শাক,সবজি জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
পি.সি.ও.ডি ও পি.সি.ও.এস-এর সমস্যার ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই সময় থাকতেই চিকিৎসা করে নেওয়া উচিত। এখন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় সহজেই এই সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব।