মাতৃগর্ভের সঙ্গে যুক্ত সমস্যা থেকে কি মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে? গর্ভ সংক্রান্ত বিষয়ে কী কী ভুল ধারণা প্রচলিত আছে? জঠর সুস্থ রাখতে কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত? পরামর্শ দিলেন মেন্টাল হেলথ কোচ দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় (Debasmita Chatterjee, Mental Health Coach)
মাতৃগর্ভ মহিলাদের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন একটা সুন্দর জায়গায় বেড়ে ওঠে একটা শিশু। গর্ভ কিভাবে সুস্থ রাখা সম্ভব? এই বিষয়ে দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে গর্ভ সুস্থ রাখার জন্যে সবচেয়ে গুরুরত্বপূর্ণ হল সচেতনতা। শুধু সেখনে বাচ্চা বেড়ে ওঠা নয়, আমাদের নারী জীবনে মূলসুত্রটাই হল গর্ভের সুস্থতা এবং তার জন্য কোনও সচেতনতাই নেই। ঋতুস্রাবের কথা অনেকেই লুকিয়ে রাখে এখনও। এগুলোর সবকিছুই সমস্ত মহিলাদের জানা খুবই দরকার। তার জন্য ব্যায়াম রয়েছে। নিজেদের জীবনধারা, খাওয়াদাওয়া ঠিক করতে হবে। তবে, এর থেকেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রকিতির সাথে যুক্ত করা। যেটা না হলে, গর্ভের সাস্থ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভের সাথে যুক্ত কোনো সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। তবে, এটা পুরোটাই ঠিক করা সম্ভব। একটু সচেতন থাকলেই সেটা শরীরে ভালো প্রভাব পড়বে। এই সমস্যা হলে কী কী ক্ষতি হয়? দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে অনেকরকম সমস্যা দেখা যেতে পারে, যেমন হর্মনাল সমস্যা, খাবারে সমস্যা, ব্রণ, ওজন বেড়ে যাওয়া, নানারকম মানসিক সমস্যা, ইত্যাদি।
এছাড়া গর্ভের সুস্থতা নিয়ে অনেকেই সচেতন না। তিনি জানিয়েছেন যে সকলকে বুঝতে হবে যে গর্ভ কোনও লজ্জার ব্যাপার নয়, কিংবা কোনও দুর্বলতা নয়। গর্ভকে নিয়ে সবার গর্ব করা উচিত। সমস্ত ভুল ধারণাকে বাদ দিতে হবে।
আমাদের জীবনধারা এই সমস্যার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। প্রধান এক কারণ হল কৃত্তিম আলো। সেতার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। তার ফলেই হর্মনে অনেক বদল দেখা যায়। শরীরচর্চা না করা এক কারণ। কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে, শরীরের চর্চাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেটা বাড়ানো দরকার। এছাড়া খাবারের প্রতিও নজর দিতে হবে। DHA যুক্ত খাবার খেতে হবে, ভিটামিন ও মিনারেল কতটা রয়েছে আমাদের শরীরে সেটা দেখা দরকার। বেশি করে ফল খেতে হবে।